১
সুখ নামক সোনার পাখি,
শান্তি নামক সুশীতল নদী,
হাসি নামক নন্দন কানন,
আতশবাজির আনন্দ রঙ্গমঞ্চ হতে
হঠাৎ হারিয়ে গেল।
হঠাৎ হারিয়ে গেল।
আমার জীবনটাকে করলো ছারখার,
বিরহের এক সুতীব্র আগুনে, যন্ত্রনার।
২
যে আমি একদিন ছিলাম
তোমার হৃদয়-বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু,
যে আমি একদিন ছিলাম
তোমার হৃদয়-বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু,
তোমার ফুটন্ত কমলের বৃন্ত,
এক পাহাড়ি নদীর উত্থাল স্রোত,
এক বাগানের উদাস বুলবুলি,
এক নেশার নিষিদ্ধ হিরোইন।
আড়াই হাজার বছরের সাক্ষী দিল্লী নগরী।
৩
সেই আমি সাজলাম-
বাংলার ঈশানকোণের বাউল সুফি ইব্রহীম-তৃষ্ণা,
তোমারই একজন গভীর রাতের অনিদ্র স্বপ্নাচারী।
এক নেশার নিষিদ্ধ হিরোইন।
একজোড়া নয়নের অতৃপ্ত চাহনি,
এক জীবনের শত সাধনার ধন,
কোন এক হৃদয়-সাম্রাজ্যের রাজধানী, আড়াই হাজার বছরের সাক্ষী দিল্লী নগরী।
৩
সেই আমি সাজলাম-
বাংলার ঈশানকোণের বাউল সুফি ইব্রহীম-তৃষ্ণা,
তোমারই একজন গভীর রাতের অনিদ্র স্বপ্নাচারী।
৪
আমি শান্তি পেতাম-
তোমার ফুলবাগানে জলসেচনে,
তোমার পাঁপড়িতে হৃদয় সঙ্গমে,
তোমার মধুকুঞ্জে গুনগুন গুজ্ঞরণে
প্রতিটি মূহূর্তে মূহূর্তে, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।
৫
প্রতিটি মূহূর্তে মূহূর্তে, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।
৫
সুতীব্র আর্তনাদে সদাহাস্য আমি ছিলাম,
তোমার মনের কনিকায় কনিকায়।
বিলিয়ে দিলাম নিজেকে নিঃশেষে,
তোমার সবুজ দ্বীপের নির্জন চরায়।
আমার সারাটা জীবন,
মধুমধু বসন্ত যৌবন,
শরীরের সব ক’টি অণুকনা,
শেষবিন্দু রক্ত-ফোটাও।
৬
তোমাকে দিতে দিতে,
সতের বছরের এই নাতিদীর্ঘ্য জীবনে হারাই,
তোমাকে দিতে দিতে,
সতের বছরের এই নাতিদীর্ঘ্য জীবনে হারাই,
সামান্য সঞ্চয় আমার যা ছিল, তার সবটাই।
রচনাকালঃ আমার এমসি কলেজ জীবন, সিলেট।
রচনাকালঃ আমার এমসি কলেজ জীবন, সিলেট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন