বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

উল্কার মত জ্বলে হচ্ছি নিঃশেষ


উল্কার মত জ্বলে হচ্ছি নিঃশেষ

শিমি
তোমার সাথে দেখা না করে,
তোমার সাথে কথা না বলে,
আমার কাটত না 
একটিও মূহুর্ত
 একটিও দিন।
তুমিহীন দিনে কাদা-নরম হৃদয়ে আমার
বিরহের অগ্নিশিখা  করতো দাউ দাউ।
মনবাড়িতে বহে যেত 
প্রবল কালবৈশাখীর ঝড়।
আমার প্রানপাখি খাচা ছেড়ে 
উড়ে যেত আকাশের পানে
সীমার খোঁজে দিগন্ত সন্ধানে।
তোমাকে ছোঁয়ার স্বপ্নীল ভাবনায়।
তোমাকে হারানোর অলীক শংকায়। 

মাটির সন্তান আমি, মাটি আমার ঘর।
আকাশের কি সাধ্য আছে
সে আমাকে সান্ত্বনা দিবে
ঢেলে তার রাশি রাশি নীল ?
সে-তো এক নিঃসীম শূন্য।
ব্যদনার রঙ্গ গাঢ়নীল ছাড়া
  আর কিইবা আছে তার, 
আমাকে দিবার।

তাই সেই সব
তুমিহীন দিনে তুমিহীন রাতে,
এই প্রজ্জ্বলিত প্রাণটা আমার
রাতের অন্ধকার আকাশ হতে
ধাবমান জ্বলন্ত উল্কা হয়ে
শূন্যহাতে 
সবেগে ফিরে আসত ধরার টানে।
এবং
 জ্বলেপুড়ে ছাই হত বাতাসের ধাক্কায়,
কিংবা 
নিঃশেষে ঢলে যেত মাটির চরায়।

রচনাকাল ঃ মদন মোহন কলেজ জীবন, সিলেট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন