সফরকালঃ ৩রা মে ২০১৪সাল
হতে ১০ম মে ২০১৪সাল
নেপাল একটি ছোট্ট অপরূপ
সুন্দর দেশ। বাংলাদেশের সমান আকারের দেশটির আয়তন ৫৬,৮২৭ বর্গমাইল। দেশটি
পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্যে ৫০০মাইল এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রস্থে ১২০মাইল। নেপালের পূর্ব,
পশ্চিম ও দক্ষিণে আবর্তন করে আছে ভারত এবং উত্তর দিকে চীনের তিব্বতের দুর্গম
পাহাড়ি অঞ্চল। বেশ কয়েকটি কারণে দেশটির বিশ্বব্যাপী পরিচিতি রয়েছে। প্রথমতঃ
দেশটিতে রয়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় এবং সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট
এভারেস্ট। দ্বিতীয়তঃ প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই দেশটিতে একজন ধর্ম প্রচারকের
আবির্ভাব হয়। হজরত ঈসা(আঃ) এবং আমাদের নবি হজরত মোহাম্মদের(সঃ) পর পৃথিবীতে যার
সর্বাধিক অনুসারি রয়েছেন। সার্কভূক্ত দেশ ভূটান, শ্রীলংকা ছাড়াও আমাদের
পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার হতে শুরু করে জাপান পর্যন্ত বিশাল এক অঞ্চলের বিশাল
জনগোষ্টির ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতি যে মানুষটিকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে সেই
গৌতম বুদ্ধ ছিলেন বর্তমান নেপালের লুম্বিনি এলাকার সুপ্রাচীন রাজ্য কপিলাবস্তুর
রাজা শুদ্ধধন ও রানি মায়াদেবীর সন্থান। শৈশব হতে তার বৈরাগ্যভাব উপলব্ধি করে পিতা
রাজা শুদ্ধধন তাকে সংসারে আবদ্ধ করার জন্য যশোদা নামের একজন অনিন্দ্যসুন্দরীর সহিত
বিবাহ দেন কিন্তু তিনি রাজ্য সংসার ত্যাগ করে মানুষের মুক্তির সন্ধানে বেরিয়ে যান
ও দীর্ঘকাল ধ্যানমগ্ন হন। ভারতের মহান সম্রাট অশোক তার ধর্ম গ্রহণ ও প্রচার
করেন। গৌতমের ধর্ম বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয়। বিশ্বে তার এত মূর্তি ও ভাস্কর্য্য
রয়েছে, যা কারো নেই। আমাদের ইসলাম ধর্ম
দুনিয়ায় আসার প্রায় হাজার বছর আগে এই বৌদ্ধ ধর্ম পৃথিবীতে প্রচার ও প্রসার হয়।
আমি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র
থাকাকালে আমাদের পাঠ্যসুচীতে একটি প্রবন্ধ ছিল ‘এভারেস্ট বিজয়’। মাউন্ট এভারেস্টের
উচ্চতা ২৯০৩৫ ফুট, যা প্রায় সাড়ে পাঁচ মাইল। এই এভারেস্টে আরোহন করতে গিয়ে বিভিন্নকালে
অসংখ্য মানুষ বৈরী আবহাওয়ায় বরফে প্রাণ হারান। প্রাচীন নেপালিরা মনে করত এইসব
অগম্য বিপদসঙ্কুল পর্বতমালায় দৈত-দানব ও দেবতারা বসবাস করেন। হিমাঙ্কের নীচে
তাপমাত্রা বিশিষ্ট বায়ুচাপহীন বা অক্সিজেনশূন্য বরফ, মেঘ ও তুষারঝড় কবলিত এইসব
পর্বতমালার একটি নিদৃষ্ট উচ্চতার পর প্রাচীন নেপালিরা আর উপরে উঠার চেষ্টা করত না।
দৈত-দানব ও দেবতাদের সেই উপরের রাজ্যে যেতে তারা ভয় পেত।
আমি অষ্টম শ্রেণিতে
অধ্যয়নকালে জানতে পারি নেপালের শেরপা উপজাতির লোক তেনজিং নরগে ও নিউজিল্যান্ডের
অধিবাসী এডমন্ড হিলারি ১৯৫৩ সালের ২৯ মে সর্বপ্রথম এই দুর্জয় মাউন্ট এভারেস্টে
আরোহন করেন। সেই অধ্যয়ন আমার মনে এভারেস্ট শৃঙ্গ ও হিমালয় পর্বতমালা স্বচক্ষে
দেখার ইচ্ছে জাগ্রত করে।
আমি, পুত্র জেফার, পত্নী
নুরজাহান বেগম চৌধুরী এবং ওয়ালি সিটি হাউজিং চেয়ারম্যান ভাগনা জিন্নুন বখত চৌধুরী
মাউন্ট এভারেস্টের উপরে উঠে বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহর এই অপরূপ সৃষ্টিকে পর্যবেক্ষণ ও
পরিদর্শন করি। অত্যন্ত বৈচিত্রে ভরা দেশ নেপাল। আমি যখন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণ
করি মনে হয়েছিল আমাদের সিলেটের টিলাগুলো যেন মাটির ঢিবি। পরে যখন মেঘালয় পর্বতে
যাই মনে হল পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো কিছুই না। পরে যখন মালয়েশিয়ার
গ্যান্টিং হাইল্যান্ডে উঠি মনে হল এটা বুঝি আর কয়েক ধাপ উপরে। মক্কার আইনুল হিজরায়
হজরত মোহাম্মদ(সঃ) মদীনায় হিজরতকালে যে গোহায় আশ্রয় গ্রহণ করেন, দু’ঘন্টা পাহাড়
বেয়ে সেখানে উঠে নিচে মানুষের সারিকে মনে হচ্ছিলো ধাবমান পিপিলিকার সারি। কিন্তু
আমার দেখা সব উচ্চতাকে অতিক্রম করে যাবে নেপালের অনন্যসাধারণ পর্বতগুলোর উচ্চতা ও
বিশালতা। হালকা সবুজে ঢাকা পাহাড়ের ধাপে ধাপে সাজানো গ্রাম, কৃষিক্ষেত ও নরনারীর
সম্মিলিত জীবন সংগ্রাম বিদেশীদের চোখে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের আবতারণা করে। আমি
নেপাল ও নেপালের মানুষকে অন্তদৃষ্টি দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি। আমার এরচনায়
আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে নেপাল, নেপালের মানুষ এবং তাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে
ধরার চেষ্টা করব।
৩রা মে ২০১৪ সাল।
গ্রিনলাইনের বাসে ঢাকা যাই। ধানমন্ডি লেকপারে সম্মন্দি আজিজ আহমদ চৌধুরীর ফ্ল্যাটে
উঠি। ৫ মে ২০১৪, সোমবার, সকাল ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারওয়েজের বিমানটি ঢাকা
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে এবং ১ঘন্টা ১০মিনিট পর কাটমন্ডু ত্রিভূবন
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আমাদের ভিসা ছিলনা, বিমানবন্দরে তাদের
ইমিগ্রেশন সহজেই এন্ট্রি দিয়ে দেয়। বিমানবন্দরের বাহিরে এসে আমাদের ভ্রমণ
প্রতিনিধি অনিল আগরওয়ালকে আমাদের নাম লিখা একটি সাইনবোর্ড হাতে দেখতে পাই। তিনি
একটি দামি এসি মাক্রোবাসে করে আমাদেরকে শহরের দিকে নিয়ে যান। উঁচুনিচু রাস্থা দিয়ে
গাড়ি অগ্রসর হয়। এই শহরটি নেপালের রাজধানী কাটমন্ডু। হাজার বছরেরও পুরানো শহর,
রাস্থাগুলো ছোট, আমদের সড়কের মত একটু ভাঙ্গাচুরা, কিছুটা অপরিচ্ছন্ন। গাড়ির চাকার
ঘর্ষণে ধুলাবালি বাতাসে উড়ছে, ট্রাফিক পুলিশ মুখে পলিঊশন মাস্ক ব্যবহার করছে। আগরওয়াল
আমাদেরকে একটি তিন তারকা হোটেলে নিয়ে যান। সুন্দর পরিপাঠি এই আবাসের নাম ‘হোটেল
গেনজং’। হোটেলের বয়েরা আমাদের ব্যাগগুলো স্যুটে পৌছে দেয়। দুইটি বড় রূম, উন্নত
বাথরুম, এসি ও গরম-ঠান্ডা পানির লাইন রয়েছে। আভ্যন্তরিণ একটি ছোট্ট দরজা দিয়ে
রূমদুটি সংযুক্ত করা যেন দুইরূম দুই বাথের এটি একটি স্যুট। গেনজং হোটেলের এই
জায়গাটির নাম নাজিমপথ।
আমরা জোহরের দুরাকাত কসর
নামাজ পড়ে খেতে বের হই। এখানে বাংলাদেশী খাবার নেই। কিছুদূর হেঁটে আমরা থেইম
রেস্টুরেন্টে ঢুকে ভেজ খাবার খাই। নেপালের সর্বত্র খাবারের অর্ডার দেবার পর তারা
রান্না করে পরিবেশন করে। ফলে ক্ষিধে পাবার একটু আগে রেস্টুরেন্টে যেতে হয়।
ডিমভাতের সাথে ডাল। এই ডাল ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত মসলা দিয়ে রান্না করা ও খানিকটা লবণাক্ত,
খুব একটা ভাল লাগেনি। সাথে আসে নেপালি সালাদ। নেপালে মাছ নেই, আবার ধর্মের
বিধিনিষেদের বেড়াজালে মোরগও বাতিল। বৌদ্ধের শিক্ষার কারণে প্রাণি হত্যা মহাপাপ,
তাই নেপালিরা ডিম খেলেও মোরগ খায়না। দুধ খেলেও গরু ছাগলের মাংস খুব একটা ভক্ষণ করেনা। নেপালিরা মূলতঃ নিরামিষভোজী জাতি। তারা ডাল ও ডিম খেয়ে প্রুটিনের অভাব
পূরণ করে নেয়। বিকেলে শহরে হাঁটতে বের হই, নিউরোডে হাঁটাহাঁটি করি। শহরের সুপ্রসিদ্ধ
কাটমন্ডুমল পরিদর্শন করি। এখানে বসে নেপালি আইসক্রিমের স্বাদ নেই। কাটমন্ডুর একটি
প্রসিদ্ধ ব্যবসাকেন্দ্র তামেল ঘুরে দেখি। সার্ক সচিবালয়ও দেখা হয়।
আমাদের ঘুরে দেখা কাটমন্ডু মহানগর এক পাহাড় পরিবেষ্টিত সমতল উপত্যকা। এই শহরটি ঢাকার পাঁচভাগের একভাগও হবে কিনা সন্দেহ এবং লোকসংখ্যা নাকি মাত্র বার লক্ষ। বাসাবাড়ি প্রশস্থ ও বেশ জায়গা নিয়ে গঠিত। অধিকাংশ বাড়ি তিনচার তলা এবং আস্তরহীন অনেক ভবন রয়েছে। এখানকার রাস্থাগুলো ঢাকার সড়কের চেয়ে ছোট ছোট। বিশাল খোলা মাঠে একদিকে সেনাবাহিনী প্যারেড করছে, আরেকপ্রান্তে বালকেরা খেলছে। সেই একই মাঠে লোকজন জগিং ও ব্যায়াম করছে। এই মাঠ একের ভিতর অনেক কাজ সেরে দিচ্ছে।
নগরকোট যাত্রাকালে কাটমন্ডুর উপকন্ঠে একটি চারলেনের বড় রাস্থা পেয়েছি, তাও
আবার জাপানের অর্থসাহার্য্যে নির্মিত। আসলে কাটমন্ডু বড়জোর আমাদের চট্টগ্রামের মতই
একটি শহর হবে। এখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটের মত ১৩/১৪ তলা ভবন তেমন নেই।
ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরটি একটি সুউচ্চ পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত। এই বিমানবন্দর ঢাকার তুলনায়
অনেক ছোট ও অনুন্নত। এমন কি সিলেট বিমানবন্দরকে আমার চোখে এরচেয়ে উন্নত মনে হয়েছে।
এবার বলব কিভাবে আমরা মাউন্ট এভারেস্ট জয় করি, সোজা কথায় এভারেস্টের উপরে যাই। পরদিন ভোরে মাউন্ট এভারেস্ট খুব কাছ হতে দেখার জন্য জনপ্রতি ১৫০ মার্কিন ডলার করে Simrik Airlines Pvt, limited এর চারটি টিকেট সংগ্রহ করি। পরদিন ৬ মে ভোর ৫টায় উঠে হোটেলের লবীতে যাই। হোটেলে ব্রেকফাস্ট ফ্রি। কিন্তু এত সকালে রেডি হয়নি। সকাল ১০টার মধ্যে ফিরে এসে নাস্তা করা যাবে, তাই নাস্তার অপেক্ষা না করে দ্রুত রাস্থায় নেমে একটি ছোট্ট কার ভাড়া করে বিমানবন্দরের ডমেস্টিক কাউন্টারে ঢুকি। টিনের ছাদে ও বাহিরে অসংখ্য বানর লাফালাফি করছিল। কিছু শীত শীত লাগছিল। নেপালে ঢুকেই বাংলাদেশের তীব্র গরম হতে মুক্তি পাই। ঐদিন কাটমন্ডুর তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের দিকে একে একে কয়েকটি ছোট ছোট আকাশযান উড়ে গেল। ভোর সাড়ে ৬টার সময় আমাদের প্লেনে ঊঠার ডাক আসে। তখনও আকাশে সুর্য মুখ মেলেনি। মাত্র ১৬ সিটের ছোট্ট উড়ালযান। দুইজন পাইলট ও একজন সুন্দরী এয়ার হোস্টেস। যাত্রী মোঠ ১৬ জন। সবমিলে ১৯ জন লোক। উড়োজাহাজের প্রতিসিটের পাশে জানালা। ডানে একসিট বামে একসিট, মাঝ বরাবর রাস্থা। একটা বড় কালবার্টের গোলাকার চুঙ্গার ভিতর ঢুকে যেন একটা সিটে বসে পরা। ৬টা ৪৫মিনিটে বিমানটি উড়াল দিল, তখনও চারপাশ মৃদু অন্ধকার। দশ মিনিট পরই নিচে দেখা গেল বরফঢাকা হিমালয় পর্বতমালা। নিচুদিয়ে উড়ছে ছোট্ট বিমানটি। নিচে ঘন কুয়াশা আর মেঘ, মেঘের ঘা ঘেষে বিশাল বরফের পাহাড় যেন ভেসে আছে। সেসব পাহাড়ে পাহাড়ে দেখা যাচ্ছে একটার পর একটা সুউচ্চ শৃঙ্গ হাকরে আকাশের পানে তাকিয়ে আছে। এভারেস্টের মত এত উঁচু না হলেও ২০০০০ ফুট ও তদুর্ধ উচ্চতার অনেক শৃঙ্গ দেখা যাচ্ছে। ইতিপূর্বে আমাদেরকে একটি ম্যাপ দেয়া হয়েছিল। ম্যাপের সহিত মিলায়ে পাহাড় শৃঙ্গ দেখা সম্ভব নয় দেখে কেবল জানালার পানে তাকিয়ে রই।
আল্লাহর এক মহান সৃষ্টি হিমালয়। সিমরিকের দেয়া সুমিষ্ট চকলেট চুষে চুষে অপূর্ব সুন্দর হিমালয় পর্বতমালা দেখে নেই। ভোরের সুর্যকিরণ বরফে পড়ে আলোর জ্যোতি বিচ্ছুরিত হচ্ছিল, যেন অজস্র চাঁদ ঝিলমিল করছে। লালড্রেসে সুসজ্জিত এয়ারহোস্টেস একজন একজন করে আমাদেরকে দুই পাইলটের মধ্যে নিয়ে যায় ও তিনটি শৃঙ্গের মাঝখানে একটু এভারেস্ট শৃঙ্গ দেখায়। সেদিন মুগ্ধ হয়ে দেখি স্রষ্টার অপরূপ সৃষ্টিকে। মহান আল্লাহকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই আমার মত একজন অতি সাধারণ মানুষকে এত কাছ হতে তার অপূর্ব সুন্দর সৃষ্টি মাউন্ট এভারেস্ট প্রদর্শন করার জন্য। আমি বেয়ে বেয়ে এভারেস্টে উঠিনি অথচ সামনে একটু নিচে অজেয় এভারেস্ট, যেন হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে ফেলবো তাকে। না তা কোনমতে সম্ভব নয় কারণ বিমানের রিডারে তখন বাহিরের তাপমাত্রা মাইনাস (-) ৩০ ডিগ্রি হতে মাইনাস (-)৩৫ ডিগ্রি উঠানামা করছে। একটানা প্রায় ৪০ মিনিট হিমালয় পর্বতমালা দেখা হল। ইতিমধ্যে লক্ষ করি বিমানটি বরফের পাহাড় হতে বেরিয়ে এসেছে। এয়ার হোস্টেস আমাদেরকে কাছ থেকে হিমালয় দেখার একটি সুন্দর সনদপত্র প্রদান করেন। নাম, সনদ ও তারিখ সহ সনদপত্রটি প্রদান করেন Simrik Airlines Pvt, limited । ছোট্ট উড়ালযানটি কাটমন্ডু শহরের উপরে চলে আসে। বিমানবন্দরটি পাহাড়ের উপর উচ্চভূমিতে হওয়ায় বিমানটিকে নিচে নামতে হয়নি। বরং দেখলাম উপরের দিকে উঠে বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি তখন সকাল ৭টা ৩০মিনিট। বের হয়েই কারে দ্রুত Hotel ganjong এর ডাইনিং হলে চলে যাই। হোটেলে প্রচুর মজাদার খাবার। ব্রেকফাস্ট ফ্রি পরিবেশন করা হয়। দুপুরে ও রাতে নিজেদের খরচে খেতে হয়। বাহিরে ভাল খাবার পাওয়া যায়না, আবার আমাদের তিন তারকা হোটেলে আকাশচুম্বি দাম। ব্রেকফাস্টের খাদ্য সমাবেশে রয়েছে একদিকে চাপাতি, ডাল, সবজি ও ডিম। অন্যপ্রান্তে দুধ, কুকারিজ ও কনফ্লেক্স। আরেক টেবিলে টুস্ট, মাখন ও জেলি। আরেক দিকে আলাদাভাবে কমলা, পাইন আপেল ও আমের জুস। একপ্রান্তে চা ও কফি। অন্য আরেক জায়গায় শুকরের মাংস ও মদ। আমরা ইচ্ছেমত খাবার খাই। তারপর বাথরুমে ঢুকে স্নান করি। (চলবে)
এই রকম বহু জাগা পাহাড় আছে বাংলাদেশে বহু মানুষ টাকাওয়ালা আছে সরকার কে পাটনার করে করতে পারে কিন্তু এই চিন্তা তারা করে অনেকে Swiss Bank কে টাকা চুর বেইমানী করে থাকে এই চিন্তা করে না দেশের উন্নতি কি রকম করা যায় গং।
উত্তরমুছুন