সিঙ্গাপুরের ডায়রি পর্ব-চার
দেশটির আয়তন ২৪০ বর্গমাইল এবং আমার সফরের সময় জনসংখ্যা ছিল ৫০ লক্ষ। সিঙ্গাপুর একটি বহুজাতিক মানুষের দেশ, এখানে জনগণের ৭৪% চীনা, ১৩% মালয়ী, ৯% ভারতীয় এবং ৪% অন্যান্য। ধর্মেও বেশ বৈচিত্র রয়েছে। সিঙ্গাপুরীরা ৩৩% বৌদ্ধিষ্ট, ১০% তাও, ১৯% খ্রিষ্টান, ১৮% ধর্মহীন, ১৪% মুসলিম, ৫% হিন্দু এবং ১% অন্যান্য। এখানে বহু ভাষাভাষী লোকজন বসবাস করেন। এই দেশে ভাষা হিসাবে ইংরেজী ৩৭%, চীনা মেন্ডারিন ৩৫%, মালয় ১১%, তামিল ৩% এবং অন্যান্য ভাষা ১৪% মানুষ ব্যবহার করেন।
আমার কাছে বিস্ময় লাগে চারটি ধর্মের, চারটি ভাষার, তিনটি আলাদা নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্টি নিজেদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও বিশ্বাস সযতনে লালন ও ধারন করে সর্বক্ষেত্রে বিশ্বের শ্রেষ্ট জাতিতে পরিনত হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ইত্যাদি নিয়ে বাড়াবাড়ি কিংবা রাজনীতি নেই। তারা ব্যক্তিগতভাবে নিজ নিজ ধর্মপালন করে থাকে। সিঙ্গাপুরি চীনাদের মধ্যে তেমন কোন ধর্মচারণ লক্ষ্য করিনি। বাংলাদেশীদের কাছে শুনেছি চীনারা খুবই ভদ্র, পরিশ্রমী ও বিনয়ী। সিঙ্গাপুরের বিশাল জনগোষ্টি নাস্তিক্য ধর্মের অনুসারী হয়েও তাদের নৈতিকতার মান আমাদের মত ধর্মভীরু দেশের নৈতিকতার মানের অনেক উপরে রয়েছে। প্রতি বৎসর জাতিসংঘের সূচকে সিঙ্গাপুর সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত দেশের তালিকার এক হতে তিনের মধ্যে অবস্থান করে। সিঙ্গাপুরের প্রাচীন জনগোষ্টি মালয়িরা আরব বনিকগণ কতৃক ইসলাম ধর্মে ধীক্ষিত হন। পরে আসেন চীনারা। বৃটিশরা উপনিবেশিক আমলে সিঙ্গাপুর বন্দর ও জাহাজ শ্রমিক হিসাবে দক্ষিণ ভারত হতে তামিল জনগোষ্টিকে নিয়ে আসে। এরা সিঙ্গাপুরের কালো ও শ্রীহীন জনতা। তাদের মন্দির, পূজাপার্বণ, রথযাত্রা ইত্যাদি সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতির একটি জনপ্রিয় অংশে পরিনত হয়েছে। সিঙ্গাপুরে প্রায় ১০/১২ লক্ষ বিদেশি কর্মজীবী মানুষ রয়েছেন। এদের কোন নাগরিত্ব নেই, কেবল ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে। লিটল ইন্ডিয়ায় রবিবার রাতে ফিরে এসে একটি মাঠে ৪০/৫০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকদের জমায়েত দেখতে পাই। সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশিরা রবিবার ছুটির দিনে এখানে এসে সমবেত হন। চাপাশের বাংলাদেশী হোটেলগুলোয় স্বদেশী খাবার খেতে প্রবেশ করা লোকের ভিড়ে বসার ঠাঁই নাই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এদেশে বাংলাদেশীরা আরামেই আছেন। কাজকর্ম যান্ত্রিক, কর্ম পরিবেশ উন্নত, কাজ তেমন কষ্টকর নয়।
সিঙ্গাপুর সব সুচকেই বিশ্বে প্রথম সারিতে অবস্থান করে। এখানে দুর্নীতি নেই, চুরি-ডাকাতি নেই, নেই মাদকসামগ্রী। এটি বিশ্বের প্রথম সারির একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশ। মানুষ সোনা-রূপা, ডলার নিয়ে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করে। রাত ২টার নাইট সাফারি হতে ফেরার সময় লক্ষ্য করি স্বল্প বসনা অনিন্দ্যসুন্দরী নারীরা নিঃশঙ্কচিত্তে নির্ভয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশে চিন্তাই করা যায়না। আমাদের দেশের ব্যাধি ইভটিজিং কিংবা বখাটেদের উৎপাত সিঙ্গাপুরবাসীরা কল্পনাও করতে পারেনা। এদেশে মাদক বহন গুরুতর অপরাধ, মাদকসহ স্বদেশি বা বিদেশি কেউ ধরা পড়লে নিস্তার নেই। অপরাধীকে তাঁরা মৃত্যুদন্ড দেয়। মাদক বহন করে এখানে বেশ কয়েকজন বিদেশি মৃত্যুদন্ডের শিকার হন। আমার ভাগনা জিন্নুন ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারাটা বিশ্বভ্রমণ করেছে, সে সিঙ্গাপুরের ডিজিটাল ব্যবস্থা লক্ষ্য করে বলল, ‘সিঙ্গাপুর ডিজিটালে ইউরোপের বাবা’। এখানে সবকিছু স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে। টাকা ঢুকালে অটো ট্রেনের টিকেট বের হয়। টেপের নিচে হাত নিলেই পানি আসে, সরালেই বন্ধ হয়। হাইকমোড হতে উঠা মাত্রই অটো ফ্লাশ হয়। বাতাস পাইপে হাত রাখলেই গরম/ঠান্ডা বাতাস এসে হাত শুকিয়ে দেয়, সরালেই বন্ধ হয়। ট্রেনের টিকেট ছুঁয়ালেই প্লেটফর্মের দরজা খোলে যায়। ঢুকামাত্র অটো বন্ধ হয়। অত্যন্ত হাইটেক অটোমেশনের দেশ সিঙ্গাপুর।
পঞ্চাশ লক্ষ লোকের ক্ষুদ্র দেশ সিঙ্গাপুর, অথচ এখানে রাস্থায় খুব একটা লোকভীড় দেখা যায়না। কারণ এখানে মানুষ চলাচল করে আরামদায়ক ভূগর্বস্থ ট্রেনে। ভূউপরিভাগে স্বর্গউদ্যানসম ফুল, লতা, বৃক্ষরাজির বুক চুরে বয়ে যাওয়া রাস্থাগুলো দিয়ে বিচরণ করে ট্যুরিস্ট বাস, কিছু দামি কার এবং জলেস্থলে বিচরণকারী উভচর ‘ডাক ভেহিকল’ নামক যানবাহন রাস্থায় চলাচল করে এবং প্রয়োজন মত নেমে যায় সিঙ্গাপুর নদী ও সাগরে।
দেশটিতে কোন মশামাছি নেই, নেই কোন ময়লার ছিটে ফোটে। লিটল ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক ও তামিলরা থাকেন। রোববারের বাঙ্গালি সমাবেশ মাঠে দুচারটি কাগজের টুকরা টাকরা দেখতে পাই। আমাদের দেশে লোকজন ফুটপাতে প্রস্রাব করে, কিন্তু সিঙ্গাপুরে রাস্থায় থুথু ফেললে কুড়ি সিঙ্গাপুরি ডলার অর্থাৎ ১২০০/-টাকা জরিমানা দিতে হয়। এখানে পানীয়র চেয়ে খাবার পানির দাম বেশি। সারাটা দেশে ঝর্ণা ও ফোয়ারায় পানির নাচানাচি নয়ন মুগ্ধ করে। সিঙ্গাপুরে পুলিশ খুব একটা দেখা যায় না। সারাটা দেশ সিসিটিভির আওতায় রয়েছে। কোথায়ও অপরাধ করে পার পাওয়ার উপায় নেই- সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়বেই এবং সাথে সাথে পুলিশ এসে হাজির হবেই। এখানে মারামারি করাতো দূরের কথা মানুষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হবারও উপায় নেই। ৯৯৯ নম্বারে কল করলেই পুলিশ এসে হাজির হয় এবং সিসিটিভির কথাবার্তা পরীক্ষা করে কে দোষি বের করে। এদেশে অপরাধীর দ্রুত বিচার হয় এবং দ্রুত দন্ড কার্যকর হয়। আমরা যে হোটেল স্টার এসিয়ায় অবস্থান করি তা পরিচালনা করেন ভারতীয় তামিলরা। এরা মূল সিঙ্গাপু্রিদের মত এত সৎ নয়। ভাগনা জিন্নুন তিনদিন অবস্থান করার হোটেল ভাড়া অগ্রীম পরিশোধ করে। বের হতে ঘন্টাখানিক দেরী হওয়ায় তারা আর একদিনের ভাড়া দাবি করে বসে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জিন্নুন বলল, ‘আমি পুলিশ ডাকছি, তারা এসে সিসিটিভিতে আমাদের কথোপকথন পরীক্ষা করে যদি বলে তাহলে আমরা আরেকদিনের ভাড়া দেবো। একথা শুনামাত্র তারা তাদের দাবি হতে সরে যায়। এবার বুঝলাম পুলিশ আসলে বিদেশীদের সাথে প্রতারণার জন্য তারা বড় অঙ্কের জরিমানার সম্মুখীন হত।
কলেজে অধ্যয়নকালে ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’ নামক একটি ঢাকাইয়া ছবিতে সিঙ্গাপুরি মেম প্রত্যক্ষ করি। ভূগর্বস্থ ট্রেনে স্বল্পবসনা এইসব অনিন্দ্যসুন্দরী মেমদের এবার স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়। ক্ষুদে হাফপ্যান্ট এবং গায়ে হাতকাটা টি-সার্ট, গেঞ্জি, সেমিজ কিংবা ট্রাউজার পরিহিত সেসব মেয়েরা সত্যই অপরূপা। তারা অনেকটা আমাদের মনীপুরী মেয়েদের মত সুন্দরী তবে আরো ফর্সা ও স্মার্ট। তাদের চুল মনীপুরীদের মত খাড়া ও মসৃণ। সবার হাতে আইপেড, তাদের কথা অল্প- আইপেডে সবার চোখ। মেমদের প্যান্ট হাঁটুর অনেক উপরে থাকলেও ছেলেদের প্যান্ট হাঁটুর নিচে কিংবা আমাদের মত পায়ের গিট্ট পর্যন্ত প্রসারিত। তাদের গায়ে রয়েছে ফুল অথবা হাফ সার্ট কিংবা গেঞ্জি।
সিঙ্গাপুরে সাপ্তাহে মাত্র একটি পত্রিকা বের হয়, অথচ জনগণ আইপেডে চোখ রেখে লন্ডন, নিউইয়র্ক, সিডনি কিংবা পিকিংয়ের সংবাদপত্র ট্রেনে বসে বসে পড়ে নেয়। সিঙ্গাপুর নামক ক্ষুদ্র নগর রাষ্টটির জনসম্পদ ছাড়া তেমন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। কৃষি নেই, খনি নেই। এমন কি খাবার ও ব্যবহার্য্য পানিও মালয়েশিয়া হতে আমদানি করতে হয়। দেশটি ১৯৬২ সালে মালয়েশিয়ার একটি অংশ হিসাবে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু মালয়েশিয়া চীনা জন অধ্যুষিত ঘনবসতির এই দ্বীপটিকে জঞ্জাল মনে করে ১৯৬৫ সালের ৯ আগস্ট স্বাধীনতা প্রদান করে।
অবশ্য এতে ইংরেজদের ষড়যন্ত্র ও স্বার্থ কার্যকর ছিল। তাই অনেকে কৌতুক করে সিঙ্গাপুরকে বৃটেনের অবৈধ কন্যা বলে অভিহিত করেন। স্বাধীন হয়ে আমাদের মত সিঙ্গাপুরের লাভই হয়েছে। আজ মালয়েশিয়ার মাথাপিছু আয় যেখানে ৯০০০/- মার্কিন ডলার, সেখানে সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু আয় ৫৭০০০/- মার্কিন ডলার, যাহা মালয়েশিয়ার ছয়গুণেরও বেশী এবং বিশ্বের রাষ্ট্রসমুহের মধ্যে প্রথম। ৪৯০০০/- ডলার মাথাপিছু আয় নিয়ে ইউরোপিয়ান দেশ নরওয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশি বিদেশি মিলে প্রায় পঁয়ষট্টি লক্ষ লোক এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে বসবাস করলেও তেমন ভীড় দেখা যায়না। অসংখ্য দৈত্যাকার বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে মানুষ হারিয়ে যায়। দেশটিতে কাজের তুলনায় জনবল কম। জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, তাই নারীদেরকে সন্থান জন্মদানে উৎসাহিত করার জন্য দেড় বৎসর মাতৃত্ব ছুটি প্রদান করা হয়। একটি ছয় মাইল দীর্ঘ সেতু সিঙ্গাপুরকে মালয়েশিয়ার সাথে যুক্ত করেছে। পশ্চিমে ২০/২৫ মাইল সাগর পার হলেই ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ। দুই ভূভাগের মাঝখানের সাগরে সিঙ্গাপুরের অবস্থান, তাই এখানে সমুদ্র অগভীর ও শান্ত। আমাদের কক্সবাজারের মত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অনুপস্থিত হলেও উচ্চ প্রযুক্তির লোকজন কৃত্রিমভাবে দেশটাকে সাজিয়ে নিয়েছে। সমুদ্রের স্থানে স্থানে ময়লা জমিয়ে ছোট ছোট দ্বীপমালা তৈরী করে নিচ্ছে। সিঙ্গাপুর ব্যবসা সফল দেশ। পর্যটন, চিকিৎসা, শিক্ষা, শেয়ার, ক্যাসিনো, নাইট ক্লাব, এয়ারলাইন, জাহাজ পরিবহন, প্রতিটি ব্যবসা তারা নিপুনভাবে পরিচালনা করে দেশটকে বিশ্বের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের দেশে পরিনত করেছে। পুলিশ ও প্রতিরক্ষা খাতে তাদের তেমন খরচ নেই।
দেশটিতে সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সব ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার লোক মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী একজন তামিল। দেশটিতে কোন বেকার নেই, জেইসি পাস করামাত্রই চাকুরী অবধারিত। দেশটির অফিস আদালত শনিবার অর্ধ দিবস ও রবিবার পূর্নদিবস বন্ধ থাকে।
সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াকে বলা হয় চিরবসন্তের দেশ। এখানে ঋতুচক্র নেই, বারমাস তাপমাত্রা আমাদের দেশের মার্চ-এপ্রিল মত বিরাজ করে। প্রতিদিন অল্প অল্প বৃষ্টি হয়। তাই এখানে গাছতলায় পানি সেচনের তেমন প্রয়োজন হয়না এবং বৃষ্টিস্নাত বৃক্ষগুলো গাঢ় সবুজ রঙ্গ নিয়েই দাঁড়িয়ে থাকে। আমি সিঙ্গাপুর অবস্থানের তিন রাতই হালকা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে দেখেছি।
১ জুলাই ২০১৩ রোজ সোমবার। আজ সিঙ্গাপুরে আমাদের শেষ দিন। সিঙ্গাপুরের আমাদের ঠিকানা লিটল ইন্ডিয়ার হোটেল স্টার এসিয়া হতে বেরিয়ে বাংলাদেশী হোটেলে খাই। তারপর কেনাকাটার বেগেজ মোস্তফা প্লাজার বাহিরে রেখে মার্কেটে প্রবেশ করি। মোস্তফা প্লাজা হতে বের হয়ে পাশের ফারের পার্ক আন্ডার গ্রাউন্ড রেল স্টেশনে প্রবেশ করি। সিঙ্গাপুর চ্যাঙ্গি বিমানবন্দরের টিকেট কেটে রেলে চড়ি। ভূগর্ব এবং ভূপৃষ্টের কয়েকটি স্টেশন পার হয়ে ট্রেন আবার ট্যানেলে প্রবেশ করে মাটির অনেক নিচ দিয়ে যেয়ে ১১টা ৩০মিনিটে সিঙ্গাপুর চ্যাঙ্গি বিমানবন্দরের ভূগর্বস্থ স্টেশনে থামে। এই ভূগর্বস্থ স্টেশন হতে লিফটে উপরে উঠে আমারা নিজেদেরকে সিঙ্গাপুর চ্যাঙ্গি বিমানবন্দরে আবিস্কার করি। এবার মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনের একটি বিমানে আরোহন করে দুপুর ১২টা ৩০মিলিটে যাত্রা শুরু করি। তখন সূর্যের আলো আকাশে ঝলমল করছে। সাদা সাদা মেঘেরা ডানা মেলে বাতাসে ভাসছে। ধীরে ধীরে সিঙ্গাপুরসিটির ভবনমালা অদৃশ্য হয়ে যায়। মনে মনে বলি গুডবাই সিঙ্গাপুর, আবার যেন দেখা হয়।
সিঙ্গাপুর- অনন্যসুন্দর একটি দেশ। দেশটির প্রকৃতি ও মানুষ আমার দারূন ভাল লেগেছে। এদেশের রাজনীতিবিদ ও জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে হয়, তারা এমন একটি অতুলনীয় দেশ ও সমাজ গড়তে পেরেছে যা সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয়। আমি এই ভাল মানুষের অনন্যসুন্দর দেশটির উত্তর উত্তর মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে সিঙ্গাপুর ভ্রমণের ইতি টানলাম।
কবি লেখক ব্লগার ও পূবালী ব্যাংকার ইসফাক কুরেশী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন