শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০

দেখে এলাম ভারত, সেই তুলনায় বাংলাদেশ পর্ব- পাঁচ

দেখে এলাম ভারত, সেই তুলনায় বাংলাদেশ  পর্ব- পাঁচ


সন্ধ্যার পর তাজমহল হতে গাড়ি দিল্লির দিকে যাত্রা শুরু করে। আগ্রার রাস্তার সংযোগস্থল সমূহে মোগল সম্রাটদের ঘোড়ায় চড়া ভাস্কর্য্য দেখা যায়। পথে মথুরায় রামের জন্মস্থান ও মন্দির পরিদর্শন করি। এই মথুরা প্রাচীন যুগে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের তীর্থক্ষেত্র ছিল। তারপর আসি বৃন্দাবনে। বৃন্দাবন হিন্দুদের তীর্থস্থান। অসুরদের বিনাশ করে পৃথিবীতে স্নেহধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে এখানে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়। শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণের বিহারস্থল এই বৃন্দাবন।এখানে হিন্দুধর্মের বৈষ্ণব ধারা পূর্ণতা লাভ করে। এখানকার মন্দির বিশাল, বাসের হিন্দু যাত্রীরা জয় রাম, জয় কৃষ্ণ শ্লোগান দিয়ে মন্দিরে যান। আমরাও সাথে সাথে গমন করি। পূজারীরা পুজা দেন। সবার কপালে চন্দনের টিপ দেওয়া হয়।

সর্বধর্মের মানুষকে এখানে যথার্থ শ্রদ্ধা ও সম্মান জ্ঞাপন করেন মন্দিরের লোকজন। শেষরাতে দিল্লি ষ্টেশনে আমরা বাস থেকে নেমে বেবিটেক্সিতে করে ‘বিশাল’ হোটেলে চলে আসি। সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সম্পন্ন করে নিউদিল্লি স্টেশনে এসে রাজধানী এক্সপ্রেস ধরি। সেদিন ১৩ সেপ্টেম্বর ৯.৩০ মিনিটে রাজধানী এক্সপ্রেস গৌহাটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। আমার ইচ্ছে ছিল আরও ২/৩ দিন অবস্থান করে জয়পুরআজমির ও দিল্লির অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখে আসব। কিন্তু বেগম সাহেবার আর ভারত অবস্থানের ধৈর্য্য নেই। দিল্লিতে বেশ গরম, তদুপরি প্রায় দুই সাপ্তাহ হয়ে গেছে আমরা দেশের বাহিরে। তাই তিনি আর ভ্রমণকষ্ট সইতে পারছেন না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও যাত্রা বিরতি দিয়ে ফেরত হই। 
ভারতীয় ট্রেন রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রিসেবা সেবা ছিল অতুলনীয়। একটু পর পর তারা টমেটো জুস, চা, কফি ও নাস্তা পরিবেশন করে। শোবার বেডের কভার বদলে দেয় কয়েকবার। আমরা ধর্মীয় কারণে মাছ ও নিরামিষ ভোজন করি। পাশের ভদ্রলোক রঞ্জন দাসের সাথে আমাদের বেশ ভাব জমে ওঠে। তিনি হিন্দি ও সিলেটি ভাষায় সমদক্ষ। রঞ্জন দাস আমিষ খান। তিনি আমাদেরকে নিরামিষভোজী মনে করে একটু আড়ালে বসে মোরগ-ভাত খান। গৌহাটিতে যখন ট্রেন আসে তখন রাত হয়ে যায়। রঞ্জন দাস আমাদেরকে একটি হোটেলে কক্ষে ঢুকিয়ে বিদায় নেন। রঞ্জন দাসের আন্তরিকতা সত্যিই মনে রাখার মত।  সেইরাতে সিলেটের মত গৌহাটিতে ঝুমঝুম বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া ভেজা ও ঠাণ্ডা, তাই এসি অন করার দরকার হয়নি। পরদিন সকালে নাস্তা করে আমরা শিলঙের বাসে আরোহন করি। সেই সুন্দর পাহাড়ি রাস্থা দিয়ে দুপুরে শিলং এসে যাই। দুপুরের খাবার এবং ঘন্টা খানিক বিশ্রাম সম্পন্ন হয় শিলং শহরে। এবার ডাউকির বাসে চেপে সেই নয়নাবিরাম সুউচ্চ পাহাড়ি রাস্থা দিয়ে এসে বিকেলে তামাবিল সীমান্ত পার হয়ে জন্মভূমি বাংলাদেশে প্রবেশ করি, আমরা তিনজন জেফার, আমি ও ডাঃ নুরজাহান। যে পথ দিয়ে শিলং, গৌহাটি ও দিল্লি গেলাম, সেই একই রাস্থা দিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম।
   

এবার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কিছু সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিয়ে আলোচনা করব। ভারত এক বিরাট দেশআয়তন বার লক্ষ ছিয়াত্তুর হাজার বর্গমাইলযাহা প্রায় তেইশটি বাংলাদেশের সমান। দেশটি লোকসংখ্যা ১২০ কোটিযা বাংলাদেশের ৮ গুণ। আসলে ভারতকে রাষ্ট্র না বলে রাষ্ট্রপুঞ্জ বলা সমুচীন। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হলেও তারা আমাদের চেয়ে একধাপ উপরে উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের দেশে প্রতি বর্গমাইলে জনসংখ্যা প্রায় ৩০০০ জনসেখানে ভারতে প্রতি বর্গমাইলে ১০০০ জন লোক বসবাস করে। ভারতীয়দের মাথাপিছু আয়ও আমাদের দ্বিগুণ। প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নে ভারত আমাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। ভারতে ১২ দিন অবস্থানকালে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চল শিলংয়ে মাত্র অর্ধঘন্টা বিদ্যুৎ যেতে দেখেছি। অথচ আমাদের দেশে প্রতিদিন ৩/৪ বার বিদ্যুৎ থাকেনা। ভারতের ট্রেন সার্ভিস এতই উন্নত যেকোন ভারতীয় আমাদের ট্রেনে উঠলে লজ্জা পেতে হবে। আমাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সেবার মান নিম্নস্থরের পর্যায়ে রয়েছে অথচ ভারতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রসংশনীয় ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ভারত বিশাল রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও সেখানে আমাদের মত দুর্নীতির তীব্রতা নেই। এত ধর্ম বর্ণ ও ভাষার লোকজন হওয়া সত্ত্বেও ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেম প্রবল। পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদের একজন মুসলিম সস্ত্রীক তাজমহলে যান। তিনি বললেন ভারতীয় হিসেবে তিনি সুখী ও গর্বিত। গৌহাটির উলুবাড়ির রঞ্জন রায়ের অহংকারতিনি একজন ভারতীয়। ভারতের লোকেরা কোন বিদেশী গাড়ি ব্যবহার করে না। এমনকি মন্ত্রীএমপিরাও নিজ দেশে তৈরি অল্পদামি গাড়ি ব্যবহার করেন। অথচ আমাদের মত গরীব দেশের এমপি-মন্ত্রীরা নির্লজ্জ্বের মত ৩/৪কোটি টাকা দামের টেক্স-ফ্রি বিদেশী গাড়ি ব্যবহার করেন। ভারতের রাজনীতিবিদগণ দুর্নীতিতে ধরা পড়লে স্থায়ীভাবে রাজনীতি হতে বিতাড়িত হনআর আমাদের হন পুরস্কৃত। 
আসামের একটা ছেলে জানতে চেয়েছে আমাদের দেশে মোটর সাইকেল তৈরি হয় কিনা। বললাম আমাদের ওয়ালটন কোম্পানি টেলিভিশনফ্রিজ ও মোটরসাইলেক তৈরি ও রপ্তানি করে থাকে। সে দুঃখ করে বলল- জাপানি কোম্পানি ভারতে কারখানা তৈরি করে ভারতের প্রচুর টাকা নিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয়রা আমাদের মত বিদেশমুখী নন। তারা সবাই নিজেদের দেশটাকে গড়ে নিতে ব্যস্ত। তাদের রাজনীতিবিদরা সুবিধাবাদী ও আত্মকেন্দ্রিক নন। 
সেখানে ১৯৫০ সাল হতে একই সংবিধান অনুযায়ী গণপ্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করে আসছেনকখনও সামরিক অভ্যুত্থান হয়নি।১৯৫০সালে তাদের প্রণীত প্রথম সংবিধান আমাদের প্রথম সংবিধানের (১৯৭২সাল) মত এত কাটাকাটি করা হয়নি। দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ঈর্ষণীয়। আর আমাদের রাজনীতিবিদরা ঝগড়া-বিবাদে ব্যস্ত। রাজনৈতিক অস্তিরতা আমাদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করছে। 
তাদের চারটি শহর পরিদর্শনে মনে হয়েছে সেখানে অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে নগরায়ণ হচ্ছে। যেখানে আমাদের নগরসমূহ মানুষ বাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। দিল্লির সহিত বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ সুবিধা সূচকে ঢাকার কোন তুলনাই হয় না। চারটি নগর দেখে মনে হয়েছে শহরগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় ভারতীয়দের যথাযথ আইন ও নজরদারী রয়েছে। তাদের নগরে ভবনের পিটে ভবন নেই। যত্রতত্র নেই বহুতল ভবনের ছড়াছড়ি। রাজধানী দিল্লির প্রতিটি রাস্থার ধারে প্রায় ১০০/১৫০ ফুট প্রশস্ত বৃক্ষের সবুজবেষ্টনী আছেতারপর বাসাবাড়ির অবস্থান। অথচ আমাদের শহরগুলোতে রাস্থা ঘেষে গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিত বহুতল ভবন। দিল্লিতে আন্ডার গ্রাউন্ড ও ঝুলন্ত রেলপথে হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করেন ফলে দিল্লি মোঠামোঠি যানজটমুক্ত পরিচ্ছন্ন সবুজ শহরঅথচ আমাদের প্রিয় ঢাকা শহর মানুষবাসের অনুপোযুগী এক বিষাক্ত শহরে পরিণত হচ্ছে। 
ভারতে সবখানেই আছে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ছাপ। ভারতীয়রা আজ নিজদেশে সূই থেকে শুরু করে পারমানবিক বোমা পর্যন্ত তৈরি করছে। ভারতীয়দের মেধা আজ সারাবিশ্বে পূজীত হচ্ছে। ভারতীয়রা তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষা করেন সযতনেঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো আশপাশের বিশাল চত্ত্বরসহ সংরক্ষণ করেন অথচ আমাদের পুরান ঢাকায় অবস্থিত শাহজাহান পুত্র শাহ সুজার নির্মিত বড়কাটারা দখল করে লোকজন ধ্বংস করে ফেলতেছে। সুলতানি আমলে বাংলাদেশ প্রায় দেড় শত বছর স্বাধীন মুসলিম সালতানাত ছিল। তাছাড়া পাঠান, মোঘল ও বৃটিশ শাসনামলে আমাদের দেশটি বিশাল ভারত সাম্রাজ্যেরই একটি অংশ ছিল। তাই বাংলাদেশ ও ভারত একই ইতিহাস ও ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার বহন করছে। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও বাঙ্গাল কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দুই দেশের সংস্কৃতিও অনেকটা অভিন্ন ধারায় রয়েছে।
   

ভারতীয় মুসলমানদেরকে আমি তিনস্থরে বিচার করতে পারি। কিছু মুসলমান ভারতে আত্মনিমগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। তারা ভারতীয় মূল স্রোতে মিশতে পারছেন না। বিশেষতঃ দেওবন্দ মাদ্রাসা পড়ুয়া ও অল্প শিক্ষিত মুসলমানরা এর অন্তুভুক্ত। এরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছেন। পরবর্তী স্থরে আছেন সেইসব মুসলমানরা যারা নিজেদের ধর্মকর্ম ঐতিহ্য বজায় রেখে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেমূল ভারতীয় স্রোতে মিশে যাচ্ছেন। তৃতীয় স্থরে রয়েছেন সেই সব মুসলিমযারা উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছেনসেই সাথে ধর্মকর্ম ভুলে অত্যাধুনিক ভারতীয় হয়ে যাচ্ছেন। সালমান খানশাহরুখ খান এই ধারার মুসলিম। ভারতের আরেক বড় ধর্মীয় জনগোষ্ঠি শিখরা তাদের ধর্ম ও ঐতিহ্য বজায় রেখে মূল  ভারতীয় স্রোতে মিশে ভারতে দাপটের সাথে বিচরণ করছেন। বর্তমান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মিঃ মনমোহন সিং, প্রেসিডেন্ট জৈল সিং, লেখক খুশবন্ত সিং প্রমুখ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বাংলাদেশআমাদের প্রিয় জন্মভূমি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত হতে পিছিয়ে থাকলেও হয়তো এমন একদিন আসবে আমরা ভারতের উপরে উঠে যাবো। আমরা ভারত হতে পিছিয়ে থাকার বেশ কিছু বাস্তব কারণও রয়েছে। প্রথমত: আমরা ভারতের ২৪ বৎসর পর স্বাধীনতা লাভ করি এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিদ্ধস্ত হই। দ্বিতীয়তঃ আমাদের জনসংখ্যার ঘনত্ব ভারতের তুলনায় ৩ গুণ। বৃটিশ আমলে কোলকাতা রাজধানী হবার সুবাদে সেখানে মিল-কারখানা গড়ে উঠে, পুজিপতি ও জমিদাররা সেখানে পাড়ি জমান। ফলে বাংলাদেশ কলকাতার পশ্চাতভূমিতে পরিনত হয়। আর পাকিস্তানের আমলের সীমাহীন বৈষম্য তো বলার অপেক্ষা রাখেনা। 
গৌহাটি হতে দিল্লি পর্যন্ত রেলপথের দু’পাশে ধানইক্ষুচাভুট্টা ও শাক-সবজির ঘন সবুজ গালিচা অথচ জনপদ অল্পই দৃষ্টিগোচর হয়। ভারতীয়রা জীবনকে উপভোগ করেন অনেক বেশিকারণ জীবনকে উপভোগ করার মত অসংখ্য স্থানসুযোগ ও অর্থ ভারতবাসীর রয়েছে। আমাদের চেয়ে ধনী-গরীবের বৈষম্যও ভারতে কম মনে হয়েছে। সেখানে টেক্স ফাঁকি দেওয়া খুব কঠিন কাজ। টেক্স প্রদানে গরমিল করলে শাস্তি পেতে হয়। তৃতীয়তঃ ভারত বিশাল রাষ্ট্রপুঞ্জ হওয়ায় তাদের এক বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে যা আমাদের নেই। তারা রক্ষণশীল অর্থনীতি অনুসরণ করে ও বহুক্ষেত্রে বৈদেশিক আমদানি ছাড়াও চলতে পারে। তাছাড়া খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদেও ভারত আমাদের চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ।      


আমরা উন্নয়নে ভারতকে ডিঙ্গাঁতে পারি। যেমন আমাদের গড় আয়ু ভারতীয়দের চেয়ে চার বৎসর বেশি। আমাদের রপ্তানির গড় প্রবৃদ্ধিও ভারতের উপরে রয়েছে। এমন কি স্বাধীনতার ৪০তম বৎসরে (২০১১-১২)বর্ষে এই প্রথমবার আমাদের রপ্তানি পাকিস্তানকে অতিক্রম করে সার্কের আট দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। জনসংখ্যা রপ্তানি হতে বাংলাদেশ যা আয় করে তা ভারত বা পাকিস্তানের মত বিশালাকার দেশের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।। আমাদের অর্জনও অনেক। আমরা বর্তমানে চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোষাক রপ্তানিকারক দেশ। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষায় সবচেয়ে বড় সেনাদল আমাদের বেনবেট।। আমাদের নোবেল লরেইট ডঃ ইউনুসের ক্ষুদ্রঋণের ধারনা বিশ্বে ব্যাপক প্রসারিত হচ্ছে। তাঁর পুঁজি ও লভ্যাংশের সামাজিক মালিকানার ধারনা বিশ্বের সর্বত্র পঠিত হচ্ছে। ধীরে হলেও আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মিডিয়া স্বাধীন ও শক্তিশালী হচ্ছে। রাজনীতি স্থিতিশীল হচ্ছে। নিরপেক্ষ ভোটে ক্ষমতা রদবদল হচ্ছে। আফগানিস্তান ও  পাকিস্তানের মত জঙ্গিবাদের ছোবল এখানে থাবা মেলতে পারছে না। এখানে সমস্যা কেবল দুর্নীতির। এখানে আমলাতন্ত্র ও রাজনীতি ব্যক্তিস্বার্থ ও দুর্নীতির অথৈ ময়লা জলে নিমজ্জিত। এখন কেবল প্রয়োজন আমাদের বদলে যাবার। আমরা যদি বদলে যেতে পারিতাহলে সুখীসমৃদ্ধ ও উন্নত এক বাংলাদেশ এসে দাঁড়াবে আমাদের সামনেযার তুলনা ভারত কেন বিশ্বের কেহই হতে পারবে না। বাংলাদেশের উপমা হবে কেবলই বাংলাদেশ।
কবি লেখক ব্লগার পর্যটক ও পূবালী ব্যাংকার ইসফাক কুরেশী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন