চাকুরির
সুবাদে সিলেটের প্রান্তরে প্রান্তরেঃ
৩রা ফেব্রুয়ারি
১৯৯৬ সাল। তখন ছিল পবিত্র রমজান মাস। ইতিমধ্যে
পাগলাবাজার শাখা হতে জিয়াউল হক চৌধুরী বদলি হয়ে সুনামগঞ্জ শাখায় চলে যান। নুতন
ব্যবস্থাপক অভিজিত চৌধুরী যোগদান করেই জরুরী ছুটি নেন। ফরজ রোজা রেখেই আম্বরখানা
গিয়ে সুনামগঞ্জের বাস ধরলাম। সুনামগঞ্জ রোড
দিয়ে সম্ভবত এই প্রথম আমার এতদূরের যাত্রা। আব্বার কাছে পাগলাবাজার ইয়াসিন মির্জার
বিখ্যাত মসজিদ ও বীরগাঁও চৌধুরীবাড়িতে সুনামগঞ্জের কানুনগো হিসাবে তার পরিদর্শনের
কাহিনি শুনতাম। ব্যবস্থাপক অভিজিত চৌধুরী
একজন বুদ্ধিমান আউল বাউল শিল্পী মানুষ। গাণিতিক মগজ
তেমন শক্তিমান না হলেও তিনি বুদ্ধিবলে মানবশক্তি পরিচালনা করে শাখা ব্যবস্থাপনা
সুন্দরভাবে চালিয়ে নিতেন।
প্রাচীন
ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার আমার এক দুর্নিবার আকর্ষণ।
আসার সময় বাস হতে মসজিদটির গম্বুজ দেখেই সিন্ধান্ত নিলাম ইয়াসিন মির্জার মসজিদে
জোহরের নামাজ পড়ব। একটি সুন্দর ছোট্ট প্রশান্ত নদী মহাসিং। অসংখ্য কাজলদিঘি
একটার পর একটা পাশাপাশি যোগ করে দিলে যে চেহারা আসবে নদীটি তাই। মেঘালয়ের পাহাড়ের
ঝর্ণার স্বচ্ছ জলধারা বয়ে নিয়ে আসা মহাসিং নদীর সুন্দর
পারদিয়ে হেটে হেটে জলমহালদার ইয়াসিন মির্জার বাড়ির নদীঘাটে পৌঁছি।
প্রাচীন এই মৎস্য জমিদারের বাড়িটি পেরিয়েই দুতলা এই অপুর্ব সুন্দর গম্বূজওয়ালা
মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ি। এযেন দিল্লীর শাহি মসজিদের এক
ছোট্ট সংস্করণ। মসজিদের জামাতে মুসল্লি
তেমনটি নেই, একলাইনও পুর্ণ হয়নি। মসজিদের নদীঘাটে বসে পাশে যেন
এক কমলারানইর দিঘিবেশে
সুসজ্জিত মহাসিং নদীর রূপদেখে বিমোহিত হই। ১০ফেব্রুয়ারি
১৯৯৬ সালে আবার ফিরে আসি সিলেট শাখায়।
২৪ ফেব্রুয়ারি
১৯৯৬ সাল। এবার ছুটলাম কুশিয়ারাপারে
মিরগঞ্জ শাখায়। ব্যবস্থাপক জি এম রুহুল আমিন যাবেন ছুটিতে। বাসে মোকামবাজার
পৌছলাম। তখনও কুড়ানদীর উপর ব্রিজ ছিলনা। নৌকায় ওপারে গিয়ে মান্ধাতা আমলের কিছু
লক্কর যক্কর মার্কা জিপের দেখা পেলাম। কয়েকজন যাত্রি ধাক্কা মেরে জিপটি স্টার্ট
দেন। গর্তেভরা ভাঙাচুরা রাস্থা দিয়ে হেলে দুলে জিপটি কুশিয়ারাপারের মিরগঞ্জ বাজারে
পৌঁছিল। ফিরলাম ২৭ফেব্রুয়ারি
১৯৯৬।
আমার
জন্মভুমি চৌধুরীবাজার শাখায় কাজ করে এক দারুন মজা পেতাম। এই শাখার ব্যবস্থাপকগন
ছূটি চাইলেই আমি সেখানে রিলিভিং ম্যানেজারের দায়িত্ব পেতাম। আমার শত জনমের
প্রিয়জনদের সাথে বারবার সাক্ষাতের এই সুযোগ আমাকে পুলকিত করত। ১৬ মার্চ ৯৬ হতে ২৩
মার্চ ৯৬ বসন্তের এই সাপ্তাহকাল বাড়িতে থেকে ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমানের ছুটিকালে
সেখানে অফিস করি।
আমার বয়স
ত্রিশ পেরুলেও সিলেট বিভাগের অনেক উপজেলায় এখনও আমার পদচিহ্ন পড়েনি। এযেন ‘দেখা হয়
নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে বাইরে দু পা ফেলিয়া’। বিভিন্ন
উপজেলার লোকজনের সাথে চলাফেরা করি, অথচ তাদের অঞ্চল দেখিনি। মহিউদ্দিন
স্যারের আমলে আমার সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সবকটি উপজেলা ঘুরে দেখার বাসনা জেগে
উঠে। এই সুযোগ নিতে কিছুদিনের জন্য সিলেট শাখার ক্যাশ রিমিটেন্স দলে ঢুকে গেলাম।
রিমিটেন্সের
গাড়িতে উঠে প্রথম দিনই ছুটলাম ছোট্ট অনুশহর জকিগঞ্জ। পুর্বসীমান্তের এই অঞ্চলে বাংলাদেশের প্রথম
সুর্যোদয় ঘটে। চারখাইয়ের পর সড়কটির অবস্থা ছিল শোচনীয়। আমরা কালিগঞ্জ শাখায়
রিমিটেন্স প্রদান করে দ্রুত জকিগঞ্জের পানে ছুটলাম। সিলেট হতে কালিগঞ্জ ৩৬ মাইল ও
জকিগঞ্জ ৫৫ মাইল দুরত্বে অবস্থিত। তখন জকিগঞ্জের ব্যবস্থাপক ছিলেন ভাদেশ্বরের হেলাল
উদ্দিন স্যার। তিনি একজন প্রাণবন্ত দিলখোলা লোক। আমাকে নিয়ে তিনি জামাতে যোহরের
নামাজ পড়েন। একটি হোটেলে নিয়ে আমাদের রিমিটেন্স টিমের সবাইকে তার তরফ হতে দুপুরের
লান্স করান।
এইবার হেলাল
স্যার আমাকে নিয়ে জকিগঞ্জ শহর দেখাতে বের হন। বরাক নদীর পারে দাড়িয়ে ওপারের
বহুশুনা করিমগঞ্জ শহর দেখলাম। এই শহরটি ১৯৪৭ সালে
সিলেট জেলার অঙ্গ হতে খসে পড়া তৎকালীন করিমগঞ্জ মহকুমা শহর। নদীটির মধ্যভাগ বরাবর
ভারত ও বাংলাদেশের সীমারেখা বয়ে গেছে। আমি ও হেলাল উদ্দিন স্যার প্রায় ঘন্টাখানিক
সময় পাশাপাশি হেটে হেটে পুরো জকিগঞ্জ বাজার এলাকা দেখে নেই। এপার হতে দেখা ওপারের
করিমগঞ্জ শহরটিকে আমার চোখে কেমন যেন এক নিস্প্রভ নগর মনে হচ্ছিল। উন্নত দালান নেই
কেবল ভাঙ্গাচুরা টিনের পাকা বাড়িঘর আমার নজরে পড়ছিল। ওপারের মন্দির হতে নদী পার
হয়ে মাইকে শাস্ত্রপাঠের সহিত ডোল করতালের শব্দ ভেসে আসছিল। নদীপথে নৌকায় মালামাল ও
লোকজন এপার ওপার চলাচল করতেও দেখি। নদীর দুইপারে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর
তৎপরতা আমার নজর কাড়ে। হেলাল উদ্দিন স্যার কথা বলার সময় তার ঠুটে একটা মিষ্টি মধুর
হাসি লেগে থাকত। তার বদন্যতা ছিল আকাশ ছোঁয়া। হেলাল স্যার এখন আর দুনিয়ায় নেই।
মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করুন।
ক্যাশ
রিমিটেন্স টিমে যোগদিয়ে এবার আমার নতুন নতুন জায়গা দেখার ঢল নামল। গেলাম কুশিয়ারা
পারের বালাগঞ্জ, লন্ডনিদের বিশ্বনাথ, গোয়াইনপারের
গোয়াইনঘাট, জৈন্তার দরবস্ত, আমার গ্রামের রাস্থা ধরে ফেন্সুগঞ্জ, টিলাটক্করে ভরা
বিয়ানীবাজার, চৌধুরীবাজার, চন্দরপুর, আসিরগঞ্জ, মিরগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, সিঙ্গেরকাছ,
গোবিন্দগঞ্জ। সিলেটের অনেক গঞ্জ, অনেক পুর, অনেক বাজার ঘুরে দেখা হল। মাসদেড়েক দৌড়েই
আমি হাফিয়ে উঠলাম। সকাল ৯/১০টায় বের হয়ে ফিরে আসতে প্রায়ই রাত ৭/৮টা বেজে যেত।
রাতে শরীরটা ঝিমিয়ে যেত। তারপর আবার আটনয় মাইল দূরের দাউদপুর গ্রামে ফিরতে বেশ রাত
হয়ে যেত।
ক্যাশে তখন
তীব্র লোকবল সংকট। আমি ক্যাশের লোক নই, অথচ শখের বসে রিমিটেন্সে গিয়ে কি বিপদেই না
পড়লাম। শেষে বেশ কৌশল করেই রিমিটেন্স টিম হতে বেরিয়ে আসতে হল। তবে
আমার অভিযান ইতিমধ্যে শতভাগ সফল হয়ে গেছে। পুবালী ব্যাংক
সিলেট শাখার রিমিটেন্স টিম যত জায়গায় যায় তার সবটুকুই চাক্ষুস দেখা হয়ে যায়।
১৯৯৬ সালের
২৪ অক্টোবর হতে ২৯ অক্টোবর এবং ১৯৯৭ সালের
১লা মার্চ হতে ৬মার্চ দুইবার আমি সিলেট শহরের এগার মাইল পূর্বে সুরমাপারের
গোলাপগঞ্জ শাখায় রিলিভিং ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করি। এই শাখার সন্নিকটে
ফুলবাড়ি ও রনকেলী গ্রামে আমাদের অনেক আত্মীয়স্বজনের স্বায়ী নিবাস। এখানে অনেক
পুরানো আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের সাথে দেখা হল। এই শাখার ব্যবস্থাপক মোস্তফা
উদ্দিনের বাড়ি দেড়মাইল দূরের পাহাড়ি গ্রাম বারকোট। গ্রামে তার দুতলা বাড়ি থাকা
সত্বেও তিনি তার সুন্দরী পত্নীকে নিয়ে ব্যাংকের সামনে একটি ভাড়াকরা ফ্ল্যাটে বসবাস
করতেন। অফিসের কাজের লোক একদিন বলল ম্যানেজার স্যার অফিসে আসার সময় বেগম সাহেবকে
ঘরে রেখে বাহিরের দিকে তালা মেরে আসেন। আবু সফিক ভাই এই ব্যাপারটি জানতে পেরে
একবার মোস্তফা স্যারকে টিপ্পুনী কাটলে তিনি জবাব দেন, মেয়ে মানুষকে কোনদিন বিশ্বাস
করতে নেই।
১৯৯৬ সালে
আমার শ্বশুর এনাম উদ্দিন চৌধুরী ও শ্বাশুড়ি মলিকা খাতুন পবিত্র হজ্জ পালন করেন।
আমি আমার পাশের তুড়ুকখলা গ্রামের শাহদাউদ ট্রেভেলসের মাধ্যমে হজ্জযাত্রার আয়োজন
করি। আমার শ্বাশুর তার আমেরিকা প্রবাসী পুত্র শাহজাহানের পরামর্শে চুনিয়া বিলে
কিছু জমি আব্দুস সাত্তারের কাছে বিক্রি করেন এবং এই টাকায় হজ্জের সমুদয় খরচপাতি
বহন করেন। মদিনায় অবস্থানকালে শ্বাশুর এনাম উদ্দিন চৌধুরী অসুস্থ হয়ে কিছুটা
অর্থসংকটে পড়লে মদীনায় চাকুরীরত ডাঃ নূরজাহানের মামাত ভাই আরবাব আহমদ চৌধুরী
তাদেরকে সহায়তা করেন।
এই সময়
একদিন হঠাৎ আমার বাসায় ফোন আসে ছোটভাই নিশাত ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি। ফোন করে এক
অজ্ঞাত ভদ্রলোক বললেন এক্সিডেন্ট করে সে একটু আহত হয়েছে। আমি ও ডাঃ নুরজাহান সব
কাজ ফেলে গাড়ি নিয়ে উর্দ্ধশ্বাসে ওসমানীর ইমার্জেন্সীতে গিয়ে দেখি অসংখ্য তরুন
বয়সী ছাত্রদের ভীড়। হাটুর নিচে ও হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা। সে তখন বাংলাদেশ ছাত্রলিগ
জেলা কমিটির সদস্য। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন শফিউল আলম নাদেল এবং সাধারণ সম্পাদক
নাসির খান।
প্রথমে কিছু
টের না পেলেও পরে বুঝলাম সে ছাত্রলিগের কোন্দলের শিকার হয়েছে। তবে যারাই এই
অপকর্মটি করুক না কেন, তারা ভয় দেখানোর জন্য হাল্কাভাবে হাতে ও পায়ে ছুরিকাঘাত
করেছে, তবে হত্যাকান্ড ঘটানো তাদের কোন উদ্দেশ্য ছিলনা। হামলাকারীরা তার মোটর
সাইকেলটি ভেঙ্গে টিলাগড়ের রাস্থার পাশে ফেলে দেয়। এই খবরটি সিলেট ঢাকার অনেক
পত্রিকায় প্রকাশ হয়। পরদিন হাসপাতালে তাকে দেখতে আসেন ছাত্রলীগ সভাপতি নাদেল, মেয়র
কামরান, মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ ও গণনেতা দেওয়ান ফরিদ গাজি। আমি সব সময় তাকে নিয়ে খুব
উদ্ভিঘ্ন থাকতাম এবং সর্বদা দোয়া করতাম আল্লাহ যেন কোনমতে নিরাপদে তার
শিক্ষাজীবনটা পার করে দেন। ইতিমধ্যে সে এম সি কলেজ হতে অর্থনীতিতে অনার্স ফাইন্যাল
পরীক্ষা দিলে আমি চিন্তামুক্ত হই। এই কলেজে মাস্টার্স চুড়ান্ত পরীক্ষার আগেও
টিলাগড়ে তার মোটর সাইকেলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
১৭ ডিসেম্বর
১৯৯৬ সাল। ব্যবস্থাপক এ কে এম মহিউদ্দিন সিলেট শাখা হতে বিদায় নেন। স্থায়ী কোন
ব্যবস্থাপক ছাড়াই ব্যস্ত এই শাখাটি প্রায় একমাস পার করে। আমি
ব্যবস্থাপক চেম্বারের বাহিরে তাতিপাড়ার বিধানবাবু ও কুলাউড়ার বুকশিমুলের আবুশফিক ভাইয়ের
পাশের চেয়ারে বসে ডিডি, টিটি, এমটি এবং পে-অর্ডার ইস্যু
করতাম। এখানে ছিল প্রচন্ড কাজের চাপ, মস্তক সোজা করার কোন উপায় ছিলনা। প্রতিদিন
বিকেলে গাঢ়ের চিমচিম ব্যথা নিয়ে বাসায় ফিরতাম।
আমার পাশের
আরেক চেয়ারে বসতেন সুধীর বাবু। আবু সফিক ভাইয়ের পত্নী অকালে মারা গেলে তার বৃদ্ধ
মা বাসায় তার সন্থানদেরে লালন পালন করেন। সুধীর বাবুর ঘরের বৌদি ছিলেন খুবই
সুন্দরী একজন প্রাইমারি শিক্ষিকা। আবু সফিক ভাই প্রায়ই সুধীর বাবুকে বলতেন, সুধীর
বাবু তুমিরেবা দাদা খুব ভাগ্যবান। আমি কেন ভাগ্যবান? সুধীর বাবু জানতে চাইলে সফিক
ভাই বলতেন, কি সুন্দরী বউ পাইছো, এমন রূপসী বউ কয়জনের কপালে জুটে। সুধীর বাবু জবাব
দিতেন- তোমার পালঙ্গ বহুবছর ধরে খালি পড়ে
আছে। একজন সুন্দরী ঘরে এনে আমার মত তুমিও ভাগ্যবান হতে আপত্তি কিসের। পাশের গম্ভীর
ভদ্রলোক বিধান বাবু এসব চটুল কথাবার্তা পছন্দ করতেন না। তাদের আলাপচারিতায় ভব্যতার
সীমা পার হয়ে গেলে বিধান বাবু মাঝে মাঝে ধমক দিতেন- তোমরা দুইজনের মুখে খালি
বেটিন্তর মাত, খালি বেটিন্তর মাত। এবার আল্লার ওয়াস্তে তোমরার মুখখানতা বন্ধ করতো।
তোমরার এত বয়স হইছে, আর কত বয়স হলে যে তোমরার মাঝে হুশঞ্জান হইব।
আবু সফিক
ভাই নিজের জন্য রোজ রোজ কনে খোজে ফেরেন। সামনে আসা লোকজনের কাছে কনের খোঁজ দিতে
অনুরোধ করেন। একিসাথে তিনি তার সাবেক পত্নীর প্রশংসায়ও সর্বদা পঞ্চমুখ থাকেন। তবে
এত পুত্রকন্যার সংসারে সবকাজ একহাতে করে আরেক বউয়ের দায়িত্বগ্রহন এত সহজ ব্যাপার
ছিলনা। এক সময় একজন মধ্যবয়সী মহিলাকে তিনি বিয়ে করেন। এই ভদ্র মহিলা প্রভাবশালী
পরিবারের সদস্য, তিনি নাকি মেয়র আরিফুল হকের ফুফু। এই বিয়ে করে সফিক ভাই ফাটাবাশের
চিপায় আটকা পড়েন এবং শেষপর্যন্ত ছয়লক্ষ টাকা মোহরানা দিয়ে প্রান বাঁচান।
ব্যাংক থেকে অবসর নিয়ে আবু শফিক তাঁর নবনির্মিত সোনারপাড়ার বাসায় ছিলেন। এক সময়
তিনি ক্যান্সারাক্রান্ত হন। তাঁর সাথে আমার শেষ দেখা হয় সিলেটের স্কয়ার হাস্পাতাল
সেন্টারে। কিছুদিন পর খবর পাই তিনি মারা গেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন