সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমি এই কি দেখছি? আমার চোখকেও বিশ্বাস করতে বেশ কষ্ট হলো


আমি এই কি দেখছি? আমার চোখকেও বিশ্বাস করতে বেশ কষ্ট হলো

বরইকান্দি শাখায় ব্যবস্থাপক হয়েই আমি এই শাখাকে ইদগাহ শাখার মত একটি মামলা ও কুঋণমুক্ত শাখায় পরিনত করার পরিকল্পনা গ্রহন করি। ইদগাহ শাখার মত মন্দঋন ও মামলায় থাকা কুঋণ যতটুকু সম্ভব ছাড়টার দিয়ে হলেও এক পেমেন্টের মাধ্যমে আদায় করে শূন্য করে ফেলার পরিকল্পনা করি। কিন্তু এই কাজে নেমে প্রথমেই হোঁচট খেলাম। কুঋণ সেটেলমেন্ট করে মাসিক কিস্তি আকারে দুই এক বছরে আদায়ে আমি ইদগাহেও যাই নি, কারণ পরে কিস্তি থেমে গিয়ে আদায় খুব কষ্টকর ও দীঘ্যায়িত হয়ে পড়ে।

মাসটি মে, ২০১০ সাল। অনেক বছর আগে প্রদত্ত ঋণের কোন টাকাই ‘মেসার্স আক্তার এন্ড সন্স’ হতে আদায় হচ্ছে না। ২০০২ সাল হতে আদালতে তার বিরূদ্ধে ব্যাংকের মামলা ঝুলে আছে। ঋণগ্রহীতা আক্তার সাহেব আমার চাচাত ভাই সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী এম পি র কোম্পানিগঞ্জের ৬০০ বিঘা মৎস্য খামারের লিজগ্রহীতা। এই পরিচয় ধরে এগিয়ে তাকে ধীরে ধীরে একটা মিমাংসায় নিয়ে আসলাম। এক পেমেন্টে সমুদয় কুঋণ আদায়ের প্রস্থাবটি যথাসময়ে প্রধান কার্যালয়ে চলে গেল। প্রধান কার্যালয় সামান্য কিছু ছাড় দিলেই এক পেমেন্টে বহু বছর ধরে মামলা ও সেটেলমেন্টে আটকে থাকা কুঋণটি বন্ধ হয়ে যায়, ইন্টারেস্ট অন সাসপেন্স হিসাবে রাখা দুইলক্ষ টাকা লাভও হয়।

ঋণগ্রহীতা আক্তার আহমদ এই সামান্য ছাড়ের জন্য ব্যাংকের চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদারকে ধর্না দিতে চাইলেন। ঈদগাহ শাখায় থাকাকালে আমি এধরনের কুঋণ আদায়ে প্রয়োজন হলে ঋণগ্রহীতাকে আমাদের চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার এমপির পিএ লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর কাছে পাঠিয়ে দিতাম এবং নিজে কখনো এসব সুপারিশ ধরনের বিষয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়ের সামনে যাই নি। তিনিও আমাকে স্নেহ করতেন এবং প্রতিদিন ফোনে স্কলার্সহোমের নানা প্রয়োজনে আমার সাথে তিনি কথা বলতেন।

একদিন আমি অফিসে যাবার জন্য সাগদিঘিপারের বাসা হতে বাহির হয়ে রাস্থায় আসামাত্র আক্তার আহমদ আমার সামনে হাজির হন। তিনি মোটর সাইকেল থামিয়ে বললেন, স্যার একটু আমার পিছনে বসেন আমি আপনাকে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে নিয়ে যাব। আক্তার সাহেব জানতেন, হাফিজ আহমদ মজুমদারের পত্নী হাফসা আপা আমার আত্মীয়, তাই আমি সাথে উপস্থিত থাকলে তার কাজ হয়ে যাবে। আমি জবাব দিলাম আমার অফিসের সময় হয়ে গেছে, হাতে তেমন সময় নেই। তিনি জবাব দিলেন, স্যার আমি আপনাকে যথাসময়ে অফিসে পৌছে দেব। মাদ্রাসা মাঠের পারে আমাদের ব্যাংকের রেস্টহাউসে গিয়ে দেখলাম এমপি সাহেবকে ঘিরে আছেন জকিগঞ্জের অসংখ্য লোকজন। লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, মাসুক আহমদ সহ জকিগঞ্জের আওয়ামি লিগের অনেক নেতা পাতিনেতারাও ঘুরঘুর করছেন। সবাই তার কাছ থেকে কোন না কোন কাজ ও সুবিধা আদায়ে ব্যতিব্যস্ত।

ভীড় ঠেলে আক্তার সাহেব তার কাছে গিয়ে ফাইল বের করলেন। ব্যস্ত চেয়ারম্যান মহোদয় আমাকে বললেন এটা আগের সেটেলমেন্ট করা কিনা। মামলাধীন এই হিসাবটি কয়েকবার  সেটেলমেন্ট করেও টাকা আদায় সম্ভব হয় নি। আমি জবাব দিলাম হ্যা  সেটেলমেন্ট করা ছিল। তিনি এবার বললেন এটার সময়সীমা কি পেরিয়ে গেছে, আবার বললাম হ্যা। উত্তরে তিনি বললেন তাহলে আমি সময় বৃদ্ধি করে দেব। এবার আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে বললাম এটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো আছে। আক্তার সাহেব যে ছাড় চাইতেছেন তা গৃহীত হলে ঋনটি সাথে সাথে সমন্বয় করে ফেলবেন। চেয়ারম্যান মহোদয় খুব সম্ভব ঘরভর্তি লোকভীড়ের ঠেলায় আমার কথা ভালভাবে আচ করতে পারেন নি। এতটুকু আলাপ করে আমি বেরিয়ে আসলাম। আক্তার সাহেব আমাকে দ্রুত অফিসে পৌছে দিলেন।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসাবে পরবর্তী তিন বছরের জন্য হাফিজ আহমদ মজুমদার পুনঃনির্বাচিত হলে সিলেটের আঞ্চলপ্রধান মোঃ মোসাদ্দিক চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা সিলেট শহরের বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপক যেমন মশিউর রহমান খান, মাহবুব আহমদ, শফিউল হাসান চৌধুরী, রাজু আহমদ, অঞ্জন কুমার দাস, জয়নাল আহমদ, শফিক উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ মিলে বিশাল এক ফুলের তুড়া নিয়ে তাকে অভিনন্দন জানাতে ব্যাংকের রেস্টহাউসে হাজির হই।

সেদিন এক পর্যায়ে হঠাৎ হাফিজ আহমদ মজুমদার সবার সামনে আমার প্রতি ক্ষেপে উঠলেন, পুবালী ব্যাংক তাই তোমার চাকুরি আছে, নইলে থাকত না। আমি হেড অফিসের কাছে লজ্জা পেয়েছি তোমার কারনে। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে অঞ্চল প্রধান মোঃ মোসাদ্দিক চৌধুরীকে বললেন ওকে শক্ত মেমো দেন, আর যেন এমনটা না করে।

হাফিজ আহমদ মজুমদারকে আমি সোনার মানুষ হিসাবে এতদিন দেখে এসেছি, তার সাথে ইদগাহ শাখায় চার বছর ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি, কিন্তু এমন বিশ্রি চেহারা ও আচরণ আমি আগে কখনও দেখিনি। আমি এই কি দেখছি? আমার চোখকে বিশ্বাস করতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। আমার সামনের যে মানুষটাকে দেখছি, তিনি হাফিজ আহমদ মজুমদার না অন্য কেঊ? আমি তার এই আচরণে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই।

আমার অনেক জুনিয়রদের সামনে তিনি আমাকে যেভাবে অপমান করলেন, তা তিনি না করলেও পারতেন। আমাকে আড়ালে আবডালে ডেকে নিয়ে তিনি শাসন করতে পারতেন, এমন কি তিনি আমার গায়ে হাত উঠালেও আমি কিছু মনে করতাম না, মুরব্বি দোলাভাই হিসাবে হাসিমুখে সহজে মেনে নিতাম ও বিষয়টি গোপনই রয়ে যেত। কিন্তু যা ঘটল তা যেন একজন প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তির উন্নতিতে খুশী হয়ে পুস্পস্থবক দিতে এসে ফুলের বদলে তার ছেড়া জুতার ঘা উপহার পাওয়ার মতনই বিষয়। তাও আবার প্রকাশ্য জনতার সামনে দাঁড়িয়ে।     

আমি জানিনা তিনি হেড অফিসকে কি বলেছেন এবং হেড অফিস তাকে কি উত্তর দিয়েছে। জানিনা আমি সেদিন যা বলেছি, তিনি পরিবেষ্ঠিত চেলাচামুন্ডাদের যন্ত্রণায় তা অনুধাবন করেছেন কিনা। না আমি সামান্য শ্রবণহীনতা নামক ক্রুটির কারণে সেদিন তার কথা সঠিকভাবে শুনতে পাই নি। কিন্তু তিনি পুরো জ্বালটা আমার উপর মেঠালেন, তাও অনেক সিনিয়র জুনিয়রের সামনে। সেদিন মনে হচ্ছিল এত অপমানের চেয়ে চাকুরিটা ছেড়ে সম্মান নিয়ে চলে যাই। কিন্তু আমার যে কাকের মত শক্ত পাকস্থলী, এই পাকস্থলীর হজম ক্ষমতাটা খুব বেশী, তাই এই সব পচা ময়লা এখানে সহজে হজম হয়ে যায়। তাই লাঞ্চনার আঁতুড়ঘর পূবালী ব্যাংকে পড়ে রইলাম।

কিন্তু আমি তার এই অসদাচরণ মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারলাম না। সেইদিন সিন্ধান্ত নিলাম আর কোনদিন সম্ভব হলে আমি তার সামনে যাব না। তাকে সম্পুর্ণ এড়িয়ে চলব।

দুইএক দিনের মধ্যে আঞ্চল প্রধান মোঃ মোসাদ্দেক চৌধুরী একটি মেমো পাঠালেন, আমি কেন নিয়ম ভেঙ্গে কাস্টমারকে নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবকে বিরক্ত করতে গেলাম? একাজ করে আমি অমার্জনীয় অপরাধ করে ফেলেছি। এই ব্যাপারে আমার বাখ্যা চাওয়া হল।

আমি লিখিত বাখ্যা দিলাম, আমার আত্মীয় হলেও ব্যাক্তিগত কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য আমি কোনদিনই ব্যাংক চেয়ারম্যানের ধারকাছে যাই নি। কেবল ব্যাংকের স্বার্থে ব্যাংকের টাকা আদায়ে ও বহু বছরের পুরানো মামলা হতে ব্যাংককে নিষ্কৃতি দিতেই আমি চেয়ারম্যান মহোদয়ের দরবারে কাস্টমার নিয়ে হাজির হয়ে গুরুতর অপরাধ করে ফেলেছি, আমার সেই সীমাহীন পাপের জন্য কতৃপক্ষের কাছে আমি করজূড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

আমিতো আসলে তার কাছে যেতামই না, যাবার কোন ইচ্ছেও ছিল না। কাস্টমারের চাপে পড়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই গিয়েছিলাম। বাসার সামনে আমাকে নিতে আসা কাস্টমারের মোটর সাইকেলে চড়ে বসার পর আমার আর না যাওয়ার কোন উপায় ছিল না।   

আসলে আমি এমন এক অজানা অদৃশ্য অপরাধ করার জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলাম, কোনদিনই জানতে পারলাম না, আমার সেই অপরাধটা কি? এই অপরাধটা কতটুকু বড় বা কতটুকু ছোট? তুচ্ছ না গুরুতর? গোনাহই কবিরাহ না সাগিরাহ? কিংবা এই অপরাধ আইনের দন্ডবিধির কোন ধারায় ফেলা যায়।

তাই হুজুরের মুখস্ত তওবা পড়ানোর মত যেন লিখলাম, প্রভু হে, পাপী আমি নিজের অজান্তে নিজের অগোচরে কোন এক বোধগম্যহীন বর্নহীন গন্ধহীন স্বাধহীন গোনাহ নাকি করে ফেলেছি,  আমার সেই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যহীন গোনাহটি মাফ করে দাও।

আসলে ‘এই কোন সে পাপ, কোন সে মাফ?’ ব্যাপারটা হয়ত মেমোদাতা আমার বস মোহাম্মদ মোসাদ্দিক চৌধুরীরও আদৌ বোধগম্য ছিল কিনা সন্দেহ। তিনি নিজের পিঠ বাচাতে আমার একটি লিখিত জবাব নিয়ে আঞ্চলিক অফিসের ফাইলে সযতনে রেখে দিলেন, যদিবা কোনদিন ডাক পড়ে যায়। এরপর আমি ব্যাংকের শাখাকে পরিস্কার করতে কুঋন আদায়, মামলা চালানো ইত্যাদি ব্যাপারে আমার পরিকল্পনা ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করি, কোন বৈপ্লবিক পথে না গিয়ে গতানুগতিক ধীরে চল নীতি গ্রহন করি। যেখানে ব্যাংকের মস্তকের নেই মাথাব্যথা, সেখানে আমার মত চুনোপুঠি চাকর-বাকরের এত লাফালাফি করার দরকার কি?  

আমার প্রিয় সহকর্মী আমিনুল হককে আমার সবকিছু শেয়ার করতাম। একদিন বিষয়টি জানালে সে দুঃখ করে বলল, স্যার আপনি একজন ভাল মানুষ অথচ সবাই আপনাকে ভূল বুঝে। আমি জবাব দিলাম, ভূল বুঝে বৈ কি, কার আমি মিতবাক স্বল্পভাষী। আমি তেমন প্রকাশ্য নই, আমি গোপন। সৃষ্টিকর্তার দুইটি গুণ তিনি জাহির, আবার বাতেন। তিনি আমাকে ‘জাহির’ গুণটি দিয়েছেন অল্পস্বল্প, আর ‘বাতেন’ গুণটি দান করেছেন ষোল আনা। তাই কেউ ‘প্রকৃত আমাকে’ বুঝতে সর্বদা ভূল করে বসে। তাদের সেই ভূলের মাসুল আবার এই ‘আমাকেই’ বহন করতে হয় চড়া দামে। মানুষের ভূল বুঝার এই কনুইগুতো সইতে সইতে আমি আজ ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে গেছি।   

আমি একজন কবি ও লেখক। কবি ও লেখকদের আত্মমর্যাদাবোধ প্রখর। এই ঘটনা আমাকে এতই আঘাত দিল যে আমি পরবর্তী প্রায় পাচ বছর আত্মীয় হাফিজ আহমদ মজুমদার এমপি  হতে দূরে সরে রইলাম। তার সংস্পর্শ যাতে আমার কাটাগায়ে নুনের ছিটা না দেয়, তাই পরবর্তী কয়েক বছর তার দৃষ্টিসীমানায় আমার কোন পদচিহ্ন আঁকা হলনা। পাঁচ বছর পর সিলেটের স্বনামধন্য লেখক ও বৃক্ষপ্রেমিক আফতাব চৌধুরীর অনুরোধে একদিন আমি আবার হাফিজ আহমদ মজুমদারের কাছে গেলাম। একদিন আফতাব চৌধুরী আমাকে বললেন আপনার লিখা বই আপনার ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাহেবকে দিয়েছেন কি? আমি বললাম, তিনি ব্যস্ত ব্যবসায়ী মানুষ। এসব বই টই ছাইপাশ তিনি কি আর পড়বেন, তদুপরি আমার মত একজন তুচ্ছ মানুষের লিখা বই। এবার আফতাব চৌধুরী বললেন, বলেন কি? আমি তাকে বই দিলে তিনি সাথে সাথে পুরো বই পড়ে ফেলেন? এমন কি বইয়ের ভিতরের সব বিষয় নিয়ে আমার সাথে টেলিফোনে আলাপও করেন।  

আমার মনে হল চেয়ারম্যান হাফিজ মজুমদার একজন মহৎ মানুষ, আমার প্রতি তার সেদিনের এই আচরণ হেড অফিসের কারো উস্কানি কিংবা ভূল বুঝাবুঝি হতে পারে। হতে পারে সেদিন তার আমার মধ্যকার মৌখিক যোগাযোগের ফাঁকে সৃষ্টি হয়েছিল কোন এক কমিউনিকেশন গ্যাপ। পাচ বছর আগের তার এই আচরনকে এই মহান চরিত্রের সাথে কোনমতে মানায় না, এটা তার চরিত্রের কোন নিয়ম নয় বরং একটি ব্যতিক্রম বলেই আমার মনে হল।

মানিকপীরের টিলার সামনে দাতব্য লায়ন শিশু হাসপাতালে এক সভায় দানবীর হাফিজ আহমদ মজুমদার নিজস্ব অর্থে ভবন নির্মাণ করে দেন। সেই ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমি তাকে আমার রচনাসমগ্র উপহার দিতে হাজির হলাম। আমার সময় নেই, তিনিও দারুন ব্যস্ত। অনুষ্টানের ইতি হচ্ছে না। লায়নরা মান্যবর দানবীর অতিথিকে তৈলমর্দন করে ভাষণ দিচ্ছেন।

সভাশেষে  অতিথিকে নিয়ে আয়োজকরা খাবারকক্ষে প্রস্থান করল। আমি দাওয়াতহীন আগন্তুক। আফতাব চৌধুরী আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। আমি কেন বিনা দাওয়াতে ডাইনিং হলে যাবো? এবার ছোটলাম হাফিজ আহমদ মজুমদারের রাতের আশ্রয়স্থল পূবালী ব্যাংক রেস্টহাউসে। সেখানে তার শোবার পালঙ্কে বইটি ফেলে রেখে বাসায় ফিরলাম। ডিজিএম শামসুউদ্দিন ফারুক ভাইয়ের মেয়ের বিয়েতে মালঞ্চ সেন্টারে আসেন হাফিজ আহমদ মজুমদার। আমাকে দেখে বললেন, তুমি এখন কোথায় আছ? তোমার বইটি এত বিশাল না করে কয়েক খণ্ডে আলাদাভাবে ছোট ছোট করে বের করলে পাঠকদের পড়তে সুবিধা হত। সেদিন তার কথাবার্তায় নিশ্চিত হলাম পালঙ্কে ফেলে আসা এই বিশাল কলেবরের বইটি  তিনি পেয়েছেন এবং পড়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন