সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকরুণ হত্যাকান্ডঃ
এই বৎসর ১৫
আগষ্ট বর্ষাসিক্ত দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নৃশংস
হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। সদ্য স্বাধীন দেশে যুদ্ধের ধ্বংসলীলার পর অর্থনৈতিক বিপর্যয়
ঘটে। মানুষের ধারণা ছিল স্বাধীন হলেই দেশে প্রাচুর্য্যের
বন্যা বইবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, স্বাধীনতা
যুদ্ধের দুষ্ট ছোবল ও নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তা হয় নি, ফলে মানুষ হতাশাগ্রস্ত
হয়ে পড়ে। হতাশায় মানুষের একমাত্র আশার আলো বঙ্গবন্ধুর অকালমৃত্যুতে
সারাদেশ মুসড়ে পড়ে, মানুষ কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে যায়।
এক সুনসান নীরবতা যেন মানুষের স্বপ্নকে বাগাড়ে
নিক্ষেপ করে। বড়দের মুখে আক্ষেপ শুনলাম, যে দেশে বঙ্গবন্ধুর মত নেতাকে মেরা ফেলা
হয়েছে এই দেশের আর ভবিষ্যত নেই। বাংলার হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠনেতার
আমলে আমার পাঠশালা জীবন অতিবাহিত হয়। তিনি বাচ্চাদের পুষ্টির জন্য প্রতিটি স্কুলে
গুড়াদুধ ও বিস্কুট বিতরণের ব্যবস্থা করেন। আমরা শিশুরা তার প্রেরিত দুধ ও বিস্কুট খেয়ে বিকেলে মহানন্দে বাড়ি ফিরতাম। প্রতিটি
শ্রেণিতে তার পাঠানো বই পেতাম। এই বইগুলোর উপর লিখা থাকতো ‘বিনামুল্যে
বিতরণ’। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর করুণ মৃত্যু বালক আমাকে এতই কষ্ট দেয় যে, বেশ কিছুদিন এক অদৃশ্য অন্তজ্বালা মনটাকে তুষের আগুনের মত দহন করে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন