নর্থইস্টের
এজিএম-২০১৬ হোটেল গ্রেন্ড সুলতান, শ্রীমঙ্গল
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সাল। আমাদের
নর্থইস্ট মেডিক্যাল কলেজ এন্ড সার্বিসেসের এজিএম অনুষ্টিত হয় শ্রীমংলে সদ্য
প্রতিষ্টিত পাঁচতারা হোটেল ‘গ্রান্ড সুলতানে’। আমাদের অনেকে তাদের নিজনিজ কারে
সেখানে যান। নর্থইস্ট কলেজ বাসে গিয়ে এই হোটেলে প্রবেশ করে মনে হল আমরা উন্নত
বিশ্বের কোন এক পাঁচতারা হোটেলে ঢুকেছি। সবুজ প্রকৃতি ও চাবাগানঘেরা এই হোটেলের
ভিতরের ডেকোরেশন অপূর্ব। কাছে টিলার উপর নির্মিত মসজিদটিও অসাধারন সৌন্দর্য্য ধারন
করে দাঁড়িয়ে আছে। একটি কক্ষে আমরা বিশ্রাম নেই।
জেফারের ক্ষুধা পেলে কিছু খাবার
কিনে দেই যার দাম ছিল আকাশচুম্বি। ডাঃ নুরজাহান বললেন একটু পর খাবার দেবে এত টাকা
দামে কিনে খাবার কি দরকার ছিল। আমি বললাম অবিশ্বাস্য দাম নেবেনা কেন এখানে তাদের
বিনিয়োগ যে অবিশ্বাস্য, আড়াই শতকোটি টাকা। প্রায় ১৪ একর জায়গায় স্থাপিত গ্রেন্ড সুলতানের
সীমানার ভিতর বাগানে, খেলার মাঠে, সরোবরে, সুইমিংপুলে আমরা ঘুরে বেড়াই। সবকিছু
জকজকে তকতকে। একসময় লবীতে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের বাংলাদেশ প্রতিনিধি উইলিয়াম হানিকে
বসে থাকতে দেখি।
এই আন্তর্জাতিকমানের পাঁচতারকা হোটেলটি
২০১৩ সালে প্রতিষ্টা করেন আসলে একজন পীর সাহেব, তিনি পীরে কামেল এনায়েতপুরী(রঃ)।
নর্থইস্ট মেডিক্যাল কলেজ এন্ড
সার্বিসেস আমাদের কাছে একটি পরিবারের মত। গ্রেন্ড সুলতানের হলরূমে প্রতিষ্টানের
পরিচালকরা সভা করেন। পরিচালকদের পরিবার সদস্যরা এই পাঁচতারা হোটেলে সারাদিন হৈ চৈ
ভূরিভোজ উল্লাস করে কাটান। একসময় আমি পুবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা জাকিয়া আক্তার,
আব্দুস সামাদ চৌধুরী ও অন্য কয়েকজনকে গেটে পাই। তাদেরকে নিয়ে ঘুরাফেরা করি, ফটো
তুলি ও চানাস্তা খাই।
এইদিন সন্ধ্যার পর আমাদের স্থায়ী
আস্থানা সিলেটে ফিরে আসি আমরা সবাই নর্থইস্টিয়ান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন