সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সিলেট পশ্চিমাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানরূপে কিছুদিনঃ

 

সিলেট পশ্চিমাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানরূপে কিছুদিন                                                                                            

প্রধান কার্যালয়ের ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগ হতে সাইফুল ইসলাম পদোন্নতি পেয়ে উপমহাব্যবস্থাক হন। সবেমাত্র তিনি সিলেটে এসেছেন। সিলেট পশ্চিমাঞ্চল প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণের পরপরই তাঁর পত্নী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। বেগম সাইফুল ইসলাম তিন কন্যা নিয়ে ঢাকায় থাকেন। হঠাৎ বিপদাপন্ন হয়ে অনেক প্রচেষ্টার চালিয়েও সাইফুল ইসলাম ঢাকায় ফিরে যেতে পারেননি। কি আর করা যায়, তাই ছুটি নিয়ে বউয়ের চিকিৎসার জন্য ছুটে যান ঢাকায়। সিলেট পশ্চিমাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব এসে পড়ে আমার কাঁধে।

২০২৩ সালের প্রথম কোয়ার্টারে প্রায় দেড়দুই মাস আমি অঞ্চল প্রধানের দায়িত্ব পালন করি। সিলেট পশ্চিমের অঞ্চলপ্রধান হিসাবে টেকনিক্যাল রোড ও বরইকান্দি শাখা পরিদির্শন করি। টেকনিকেল রোড শাখার ব্যবস্থাপক খন্দকার আজিমুজ্জামান ও বরইকান্দি শাখার ব্যবস্থাপক আবু হানিফা রনি বেশ হাসিমুখে আমাকে স্বাগত জানান। আমার বাসার কাছের পাঠানটুলা শাখা পরিদর্শনে গিয়ে ব্যবস্থাপিকা মাকসুদা আক্তারকে পাইনি। অপারেশন ম্যানেজার মিরণ বাবু বললেন মাকসুদা উন্নয়ন কাজে বাহিরে আছেন। পাঠানটুলা শাখায় উন্নতমানের রিনোভেশন কাজ হয়েছে, সমিরণ বাবু আমাকে শাখার রিনোভেশন কাজ ঘুরে ঘুরে দেখান।

পূবালী ব্যাংকে প্রথম যে দুইজন ভাগ্যবান নারী মহাব্যবস্থাপক হন, তাঁদের একজন মোসাম্মত সাহিদা বেগম এবং অন্যজন রুবিনা বেগম। প্রধান কার্যালয় ঢাকা হতে বিশ্বনাথ ও জগন্নাথপুরের কিছু শাখা পরিদর্শনে একদিন আসেন মহাব্যবস্থাপক সাহিদা বেগম। সিলেট বিমানবন্দরে তাঁকে রিসিভ করে নিয়ে যাই চৌহাট্টার আলপাইন হোটেলে। পথে বেশ বৃষ্টি হয়, তা ছিল বছরের প্রথম বৃষ্টি। সাহিদা মেডাম বললেন, সিলেট ওলি আউলিয়ার জায়গা। তাই বেশ শান্তি শান্তি লাগছে। রাতের খাবার আলপাইনে সেরে আমরা তাঁকে পৌঁছে দেই উপশহরের রোজভিউ হোটেলের সুরম্য কক্ষে। সাথে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চলের আমার সহকারী সমরেন্দ্র রায়।

পরদিন ১০টা বাজার আগেই মেন্টর মিটিংএ যোগ দিতে যেতে হবে টেকনিক্যাল রোড শাখায়। রোজভিউতে ব্রেকফাস্ট করে সাহিদা মেডামকে নিয়ে টেকনিকেল রোড শাখায় যাই সাড়ে ৯টায়। মেন্টর মিটিং শেষ হলেই আমাদের গাড়ি বিশ্বনাথ ও জগন্নাথপুর পানে যাত্রা দেয়। আমি এমন কিছু এলাকায় যাচ্ছি, যার নাম শুনেছি অনেক কিন্তু যাইনি কখনও।

মাঝপথে সাহিদা মেডামের মেয়ের ফোন আসে, আম্মা তাড়াতাড়ি ঢাকায় ফিরে এসো, আমি অসুস্থ।

মেডামকে বেশ চিন্তিত লাগছে। সাহিদা বেগমকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তৃপ্তি রানি দাসের সাথে ফোনে আলাপ করতে দেখি। তৃপ্তি রানি দাস সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে আমার পত্নী নুরজাহান বেগমের সহপাঠিনী ছিলেন। আজ তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের চেয়ারমেনের দায়িত্বে আছেন। শাহবাগ শাখায় ব্যবস্থাপনার সুবাদে ডাঃ তৃপ্তি রানির সাথে সাহিদা মেডামের ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সাহিদা মেডাম বেশ অশান্তি নিয়েই বিশ্বনাথের দশপাইকা শাখায় যান। চারপাশে হাওর ও ধানক্ষেত। মাঝখানে একটি সুরম্য অট্টালিকা। এই অট্টালিকার দুতলায় উন্নত কারুকাজে সজ্জিত দশপাইকা শাখা। আশপাশে বাজার কিংবা জনপদ খুব একটা নেই। নীরব ছিমছাম শাখায় ঢুকে মনে হল, এটা একটা অভিজাত ক্লাব এবং শাখার ব্যাংকারগণ এই ক্লাবের ভাগ্যবান সদস্য।

সিঙ্গেরকাছ শাখা দেখে ছুটে যাই রসুলগঞ্জ শাখায়। ছোট্ট বাজারে বেশ বড় মসজিদ। জোহরের নামাজ এখানে আদায় করি। তারপর জগন্নাথপুর শাখার পালা। জগন্নাথপুর সিলেট বিভাগের একটি নামকরা উপজেলা। এই উপজেলা শহরে এই প্রথম আমি শুভকদম রাখলাম। শাখার দুতলায় খানিকক্ষণ অবস্থান করে নতুন জনপদ এক নজর দেখে নিতে নিচে নেমে আসি ।

জগন্নাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক অটল মৈত্র একজন সুদর্শন যুবক। ফর্সাত্বকে কালোচুল তাঁকে নায়কোচিত অবয়ব উপহার দিয়েছে। অটল মৈত্রের টেবিল জুড়ে রয়েছে অনেকগুলো শ্রেষ্ট ব্যবস্থাপক পদক। সহজেই বুঝে নেই তিনি একজন সুদক্ষ ব্যবস্থাপক।

তাঁর সুব্যবস্থাপনা ও পেশাদারিত্বের আবার প্রমাণ পাই খাবার টেবিলে। স্থানীয় বিলের মাছ, চিংড়ি ভাজি, দেশি মোরগবুনাসহ নানাপদের খাবার। রান্না আসাধারণ।

ঢাকা হতে বারবার ফোন আসছে, সাহিদা মেডামের দুশ্চিন্তা থামার কোন লক্ষণ নেই। বললাম, মেডাম চিন্তা করবেন না, মহান আল্লার হাতে সবকিছু ছেড়ে দেন।

সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে রাত ১০টা নাগাদ বাসায় ফিরে এলাম।

পরদিন ফোনে আলাপ হলে জানলাম তাঁর মেয়ের প্রথম ইস্যু গর্বপাত হয়ে গেছে। তাঁকে সান্থনা দিয়ে বললাম, সময় তো শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে মহান আল্লাহ আপনার মেয়েকে উত্তম দানে ধন্য করবেন।

সিলেট পশ্চিমের অঞ্চলপ্রধানের দায়িত্বে থাকাকালে আরেক মজার ঘটনা দোয়ারাবাজার উপজেলায় বাংলাবাজার উপশাখার উদ্বোধন। সিলেটের বিভাগপ্রধান মহাব্যবস্থাপক আবুলাইস মো. শামসুজ্জামান ও আমি দুইটি গাড়ি নিয়ে একসাথে যাত্রা শুরু করি। আমার কারে উঠেন সমরেন্দ্র নাথ রায়, নিউটন তালুকদার, রাসেদ জামান চৌধুরী এবং শাহ মোঃ দস্তগির আজম। তাই বেশ আঁটসাঁট হয়ে কারের  আসনে বসি আমরা তিনজন। গোবিন্দগঞ্জ শাখা হতে যোগদান করেন ব্যবস্থাপক কাওসার আহমদ। ছাতকে সুরমা নদীর উপর সেতু হয়েছে। সেতু পেরিয়ে সুরমার পার ঘেষে একটি রাস্থা চলে গেছে উপজেলা শহর দোয়ারাবাজারে। রাস্থা তেমন ভাল নয়। তাই উচু সেতু এলেই সবাই নেমে গাড়ি খালি করি যাতে তলা নিচে না ফাঁসে। রাস্থা অনুন্নত। গোয়ালাবাজার একটি উপজেলা শহর কিন্তু তেমন উন্নত নয়। ছোট্ট বাজার এবং কয়েকটি সরকারি পাকা ভবন, এই যা। উচু অর্ধকাচা রাস্থা, দুইদিকে নিচু জমি, ধানক্ষেত পেরিয়ে কয়েক মাইল পার হলেই বাংলাবাজারের দেখা মেলে। দোয়ারাজার উপজেলার ভারত সীমান্তের চারটি ইউনিয়নের কেন্দ্রস্থল এই বাংলাবাজার বেশ বড়সড়। দোকান সংখ্যা দোয়ারাবাজারের চেয়েও বেশি। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ও কৃষিব্যাংক ছাড়া কোন ব্যাংক এখানে আজও আসেনি।

বাজারের সূচনায় একটি ছোট্ট দুতলা ভবনের উপরের তলায় বাংলাবাজার উপশাখা উদ্বোধন হবে। অফিস সুসজ্জিত। হলুদ সবুজ বেলুন দিয়ে সারাটা অফিস সাজানো। উদ্বোধনী ফিতা কাটার জন্য বেলুনে নির্মিত গেট স্থাপন করা হয়েছে।

ভবনের উপরের ছাদে সভামঞ্চ ও প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। ব্যাংকের ভবনমালিক একজন প্রমোটেড সেনা অফিসার। সেনাবাহিনীর ড্রেস পরে এসেছেন। ড্রেসে দশ বারটি মেডেল ঝুলে আছে। দাড়িওয়ালা সচতুর লোকটি তাঁর শ্বশুর সাহেবকে নিয়ে এসেছেন। ভবনের জমিদারকে একজন রম্য চরিত্র মনে হল, যদিও সেখানে তিনি কেউকেটা একজন। জি এম আবু লাইস মহোদয় তাঁকে সামনের চেয়ারে বসতে বললে তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। কারণ পাশে তাঁর শ্বশুর মহাশয়, কেমনে বসেবেন। যাক আমরা তাঁর শ্বশুরকেও বসার সুযোগ করে দেই। সভায় বাজারের শতাধিক লোক এসে জমায়েত হন। এই সভায় আমি বেশ সুন্দর বক্তব্য রাখি এবং আমার ফেসবুক ওয়ালে সেই ভাষণ ছেড়ে দেই।

সিলেট পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্বে থাকাকালে একই সাথে সিলেট প্রিন্সিপাল অফিসের সেকেন্ড অফিসারের কাজও করতে হত। কারণ সিলেট প্রিন্সিপাল অফিসের উচ্চপদস্থ লোকবল কমিয়ে ফেলায় আমাকেই জি এমের সাথে যৌথ স্বাক্ষর দিতে হত।

একদিন পিরেরবাজারের ব্রাক লার্নিং সেন্টারে সিলেট পূর্ব এবং পশ্চিমের অপারেশন ম্যানেজার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। মহাব্যবস্থাপক আবু লাইস মো. শামসুজ্জামান স্বস্ত্রীক উমরা পালনে গেলে আমাকে এই অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে বলে যান। উক্ত সভায় আমাকে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। সেখানে গিয়ে এক অভিনব দৃশ্য আমাকে দেখতে হয়। তাহল এই সভার সভাপতিত্ব করবেন দুইজন, সিলেট পূর্বাঞ্চল প্রধান চৌধুরী শফিউল হাসান এবং পশ্চিমাঞ্চল প্রধান সাইফুল ইসলাম। যাক আমি স্বাগত বক্তব্য রাখি সাত মিনিট। এই বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেই। এম ডি মহোদয় তা শুনে বেশ প্রশংসা করেন। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ খান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের আই টি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অসিম কুমার রায়।

আমার বাসা জেফার ভবনের চারতলার উত্তর ফ্লাটে আজিজুল হক রাহি নামক একজন দুষ্ট ভাড়াটিয়া ছিল। আমি ঢাকায় থাকাকালে দিরাই উপজেলার এই লোক বাসা ভাড়া নেয় সুন্দরী তরুণী স্ত্রী, দুই কন্যা ও মাকে নিয়ে থাকতো। তাঁর মা লন্ডনে অন্য পুত্রদের কাছে চলে গেলে সে ভাড়া দিতে অপারগ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিল আদায়ও বেশ কঠিন হয়ে যায়।

শয়তানটা প্রেম করে বিয়ে করা অল্প বয়স্কা সুন্দরী স্ত্রীকে প্রায়ই বিদ্যুতের তার দিয়ে মারধর করতো। তাঁর অমানুষিক মারের চুটে বউ দুইকন্যার মায়া ভূলে বাপের বাড়ি পালায়। মেয়েটির চিকিৎসক ভাই একদিন পুলিশ নিয়ে এসে বোনের সার্টিফিকেট সংগ্রহ কওরে নিয়ে যান। আমি মিটমাট করে দিতে চাইলে চিকিৎসক ভাই মোবাইলে তাঁর বোনের পিঠে অসংখ্য মারের কালো কালো দাগ দেখিয়ে বললেন ওর সাথে সংসার করা কোনমতেই সম্ভব নয়। এত মারধর খেয়েও দুই কন্যার মায়ায় তাঁর বোন এতদিন পার করেছে, এখন সে এই নরপিসাস হতে চিরমুক্তি চায়।

আমি বুঝতে পারি সে নেশাখোর এবং একটা মানুষরূপী জানোয়ার। ওর সাথে বসবাস করা মানে নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকি নেয়া।   

আজিজুল হক রাহীর বড়ভাইয়ের বৌয়ের বাচ্চা হয়না। ভিলেন বড়ভাই তাঁকে কিছু মাস্তানের মাধ্যমে একদিন অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং মাধকাসক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করে তাঁর ছোট্ট মেয়ে দুইটিকে হরণ করে লন্ডনে নিয়ে যায়। ভাগ্যহীনা মেয়েটা (রাহীর বউ) তাঁর দুই ছোট্ট কন্যাকেও হারায়। নাজানি সে কি যে অমানুষিক যন্ত্রণায় জ্বলছে।

বাসার কয়েক মাসের ভাড়া জমে আছে। ভাড়া চাইলে আজ আসেন, কাল আসেন জবাব দেয়। কয়েক মাসের বিদ্যুৎ বিলও দিচ্ছেনা।

সে ছাদে বেশ কয়েকটি ফ্লাওয়ার বক্স রাখে। সারা ছাদে মাটি ছিটিয়ে দেয়। ছাদ ড্যামেজ করার পর্যায়ে নিয়ে যায়। কবুতর ও মোরগ রেখে সারাটা ছাদ ময়লা দুর্গন্ধময় করে ফেলে। আমি ঢাকা হতে এসেই তাঁকে বিদ্যুৎ বিল দিতে বলি। আমাকে বারবার উপরে যেতে বাধ্য করে। একদিন বিদ্যুৎ বিল দিতে বললে জবাব দেয় আমি তাঁকে কেন ডিস্ট্রাব করছি। আমার দিকে মারমুখী হয়ে ওঠে।    

প্রায় তিন মাসে ভাড়া জমে গেলে আমি তাঁকে বাসা ছাড়ার আদেশ দেই। সে বাসা না ছেড়ে প্রতিমাসে আর সময় চায়। ডাঃ নূরজাহানকে কথা দিয়েও বাসা ছাড়ে না।

এবার ভাবলাম সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবেনা, আঙ্গুল বাঁকাতে হবে। প্রথমে সাগরদিঘিরপার সমাজকল্যাণ সংস্থার সাহায্য চাই। তারপর তিনজন প্রতিবেশি সালেহ আহমদ, হুসেন আহমদ, ভাগনা মছরু চৌধুরীকে নিয়ে তাঁকে বাসা ছাড়তে আদেশ দেই, রাত ১২টার পর আপনাকে যেন বাসায় না দেখি। এবার সে পাড়ার ক্লাবের নেতা তারেকের কাছে ফোন করে মালামাল নামানোর জন্য রাতের সময়টা চায়। আমি তাঁর আবেদন মঞ্জুর করি। সকালেই সব মালামাল নিচে নেমে আসে। সে তিনমাসের ভাড়া, গ্যাসবিল ও বিদ্যুৎবিল মেরে পালায়। কেউ কেউ বললেন, পাওনা আদায়ের জন্য মালামাল জব্দ করুন। তবে দেউলিয়া অবস্থা দেখে আমি তাঁকে ছাড় দেই। যদিও সেই পাওনা ফিরে পাবার সম্ভাবনা আদৌ নেই। যাক একটা আস্ত খাবিস হতে রেহাই পেলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন