নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলীঃ
কয়েক মাস ভারপ্রাপ্ত এম ডি হিসাবে কাজ করে ২০২৩ সালের
জানুয়ারি মাসে মোহাম্মদ আলী স্থায়ীভাবে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের
দায়িত্ব পান। পূবালী
ব্যাংক
লিমিটেডের
সদ্য নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সি ই ও মোহাম্মদ আলী ২৮ জানুয়ারি ২০২৩
সিলেট
আসেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে সিলেটে তাঁর এই প্রথম সফরকে আমরা সিলেট বিভাগের পূবালী পরিবারের সবাই জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি
ফেসবুকে স্টেটাস দেই। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাড়ি হতে নেমেই তিনি আমার
সাথে হাত মেলান এবং আমার স্টেটাস পড়ার বিষয়টি অবহিত করেন।
তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের
কম্পিউটার সাইন্সের ক্লাস পরিদর্শণ করেন এবং গবেষণা বিষয়ের একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ
করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্চে আসীন সাতজন পন্ডিতের মধ্যে একমাত্র আমাদের এমডি মহোদয় ছাড়া সবাই ছিলেন
ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্ত। সেইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পূবালী পণ্যমেলার একটি স্টল উদ্বোধন
করেন ও এটিএন বুথের জন্য স্থান পরিদর্শন করেন আমাদের এম ডি মোহাম্মদ আলী।
বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত জনাব এম আলী পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের অধুনিকায়নের রূপকার। পূবালী ব্যাংকের নিজস্ব সফটওয়ার পিআইবিএস তাঁর প্রচেষ্টার ফসল। পাই ব্যাংকিয়ের প্রবর্তনও তাঁর অবদান। পূবালী ব্যাংকের পরতে পরতে তাঁর প্রতিভার ছোঁয়া লেগে আছে।
মোহাম্মদ
আলী পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। হওয়ার আগে ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মোহাম্মদ আলী ২০০৮ সালে মহাব্যবস্থাপক ও চিফ টেকনিক্যাল অফিসার পদে পূবালী ব্যাংকে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পান। তিনি পূবালী ব্যাংকের ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
মোহাম্মদ
আলী রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বুয়েট থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, আইবিএ থেকে এক্সিকিউটিভ এমবিএ (মার্কেটিং) ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিগত দুই এম ডি
আব্দুল হালিম চৌধুরী এবং শফিউল আলম খান চৌধুরীর আমলে দীর্ঘ আট বছর প্রত্যক্ষ ও
পরোক্ষভাবে মোহাম্মদ আলী পূবালী ব্যাংকের নেতৃত্ব প্রদান করেন। আমি ঢাকায়
অবস্থানকালে বেশ ক’দিন তাঁর চেম্বারে যাই। সাধারণতঃ বিকাল ৩ টার পর তিনি কিছুটা
রিলাক্স হতেন। তাই আমি এই সময়কে তাঁর সাথে সাক্ষাতের জন্য বেছে নেই। তিনি
প্রতিবারই আমাকে বেশ সময় দেন এবং শিক্ষণীয় গল্প বলেন। মহান আল্লার প্রতি তাঁর অগাধ
বিশ্বাস রয়েছে এবং তিনি অনেকবার হজ্জ পালন করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন