পুবালী ব্যাংক লিঃ জাতীয় কর্মশালা-২০০৮ সপরিবারে কক্সবাজার সফরঃ
পুবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক থাকাকালে আমি বেশ কয়েকবার জাতীয় ব্যবস্থাপক
সম্মেলনে কক্সবাজার যাই। কিন্তু ২০০৮ সালের ১১ এবং ১২ এপ্রিল অনুষ্টিত জাতীয়
কর্মশালাটি আমার কাছে এই কারনে গুরুত্ব পায় যে, এবার আমাদের ব্যাংকের মহান পরিচালক
মনির আহমদ সাহেবের পত্নী জাহানারা খানম চৌধুরীর মেহমান হয়ে আমার গিন্নী ডাঃ
নূরজাহান এবং পুত্র জেফার এই সম্মেলনে যাবার আমন্ত্রণ পান। আমার আব্বার প্রিয়ছাত্র পূবালী ব্যাংকের পরিচালক পরম শ্রদ্ধাভাজন মনির
আহমদ আমার পাশের প্রাণের গ্রাম
তুড়ুকখলার বাসিন্দা। তিনি আবার সিলেট শহরের সাগরদিঘিরপারে আমার প্রতিবেশী।
১০ এপ্রিল ২০০৮ সকালে বাসে চট্টগ্রাম পৌছি এবং সেখানে সকালের নাস্তা করে
অন্য একটি বাসে কক্সবাজার রওয়ানা হই। আমার দশ বছরের ছেলে জেফার এত দীর্ঘ্য
বাসভ্রমন কখনো করেনি। সে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। একসময় তার কিছুটা বমির ভাব সৃষ্টি হয়।
সে ব্যমো আটকে রাখার চেষ্টা করে কিছুটা শ্বাসবন্ধ অবস্থায় পড়ে যায়। তার চেহারা নীল
হয়ে যায়। আমার চিৎকারে ড্রাইভার গাড়ি থামান। তারপর একটা ব্যমো হলে সে সুস্থ্য হয়।
দুপুর একটায় হোটেল সী প্যালেসে এসে হাজির হই। ব্যাংকের পরিচালকদের প্রোটকল
অফিসার শাহআলম হোটেল সী প্যালেসের ওয়েস্টার্ন প্লাজার ৫১৭ নং বড় রোমটি আমরা
তিনজনকে বরাদ্ধ করে দেন। এখানে আমরা প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট ও ডিনার করি। দুপুরের
খাবার হয় হোটেল সীগ্যালে। এই সী প্যালেস হোটেলের একটু পিছনে সাগরপারের ঝাউবন এবং
দিগন্তহীন সমুদ্রসৈকত।
১১ এপ্রিল সকাল ৯টায় সাগরের পাশঘেষা হোটেল সীগ্যালের কনফারেন্স হলে আমাদের
ব্যাংকের জাতীয় কর্মশালা-২০০৮ উদ্বোধন হল। সকাল ৯টায় স্যুটকোট টাইপরা ফুলবাবুরা
এসে হোটেল সীগ্যালের অডিটরিয়ামটি পূর্নকরে দেন। সবার কোটের বামবক্ষে পূবালী
ব্যাংকের সবুজ মনগ্রাম শোভা পায়। অনেক মহিলা ব্যবস্থাপকরাও সেজে গুজে ডানাকাটা পরী
হয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহন করেন। অডিটরিয়ামের প্রথম সারিতে পরিচালক ও অতিথিরা বসেন।
তারপর ক্রমান্নয়ে বসেন পদের ক্রমানুসারে মহাব্যবস্থাপক, উপমহাব্যবস্থাপক, সহকারী
মহাব্যবস্থাপক হয়ে শেষপ্রান্তে অফিসার ব্যবস্থাপকের দল। সেদিন এই অডিটরিয়ামে
ব্যাংকের হেডঅফিস, আঞ্চলিক অফিস, পূবালী সিকিউরিটিজ সহ বিভিন্ন অঞ্চলের সাত শতাধিক
পুবালীয়ানের সমাবেশ ঘটে।
এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আমাদের মহামান্য ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হেলাল
আহমদ চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার। এখানে
মঞ্চে বসেন ব্যাংকের মাননীয় পরিচালক মনির আহমদ, শেখ ওয়াহিদুর রহমান, ফারুক ফাহিম
চৌধুরী, রুমানা শরীফ, ফায়জুর রহমান, মঞ্জুরুর রহমান, আহমদ শাহরিয়ার, আহমেদ সফি চৌধুরী প্রমুখ। তারা সবাই নিজনিজ বক্তব্য
পেশ করেন।
অতি আকর্ষণীয় বক্তব্য
রাখেন আমাদের মহামান্য চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার এম পি। তার বক্তব্যে তিনি শ্রোতাদেরকে উদ্দেশ্য করে
বললেন, আমরা তিন বৎসরের জন্য পরিচালক নির্বাচিত
হই, শেয়ারহোল্ডাররা ভোট প্রদান না করলে তিন বৎসর পর আমাদেরকে চলে যেতে হবে। কিন্তু
আপনারা সারাটা জীবনের জন্য এখানে এসেছেন, এখানে একদিন হয়ত আমরা থাকবনা, আপনারাই
থাকবেন। এই ব্যাংকের উন্নতি অবনতির সাথে আমাদের চেয়ে আপনাদের ভাগ্যই অধিক জড়িত।
সবশেষে আমি মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে আপনাদের জন্য তার অপার কৃপা ও করুণা কামনা
করছি ‘ইন্নাকা লা গাফুরুর রাহিম, নিশ্চয়ই আমার প্রভূ ক্ষমাশীল ও দয়ালু’ এই বলে
তিনি তার সুদীর্ঘ্য ভাষণটি সমাপ্ত করেন। আমদের শ্রদ্ধাভাজন এমডি হেলাল আহমদ চৌধুরী
আনুষ্ঠানিক ভাষণ দেন এবং দিনভর ফরমাল অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
আমরা যখন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত তখন আমার প্রিয় স্নেহভাজন ব্যক্তিত্ব আমাদের ব্যাংকের পরিচালক
তুড়ুকখলার মনির আহমদ সাহেব তার পরিবারের সাথে আমার পত্নী ও পুত্রকে নিয়ে ব্যাংকের
একটি মাইক্রোবাসে উনানি ও হিমছড়ি বিচ ঘুরে বেড়ান। একটি সিড়িকাটা সুউচ্চ পাহাড়ে
অবস্থিত আড়াই হাজার বছরের পুরানো রামুর বৌদ্ধমন্দির ভ্রমণে আমিও তাদের সাথে শরিক হই। জাহানারা ভাবী
হলুদ বসনা ন্যাড়ামাথা ভিক্ষু দেখে বললেন এই মানুষটা মূর্তির সামনে বসে বসে কি করছে। ধ্যানরত
বুদ্ধমূর্তির সামনে ভক্তদের দেওয়া নানান খাবার ও ফলফুল ইত্যাদি ছড়িয়ে রয়েছে।
পরিচালক সাহেবের বেগম, পুত্র দবীর ও সেমি, সেইসাথে আমরা তিনজন মহানন্দে এতই
ঘুরাঘুরি করি যে ডাঃ নুরজাহান কৃতজ্ঞ হয়ে বললেন, ডায়রেকটার স্যার আমাদেরকে মেহমান
করে যেমন নিয়ে এসেছেন, তেমনি সবকিছু দেখায়ে সার্থক করেছেন। আল্লাহ মনির স্যারকে
সুখী ও দীর্ঘজীবী করুন।
১২এপ্রিল রাতে হোটেল সীগ্যালের অডিটরিয়ামে সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আমাদের পরিচালক শেখ ওয়াহিদুর রহমান
নেচে গেয়ে সারাটা আসর জমিয়ে রাখেন। তিনি বিয়ানীবাজার হতে তার প্রতিষ্ঠিত গানের স্কুলের ক্ষুদে শিল্পীদের একটি দল
নিয়ে যান। তারা বেশ পারফরম করে। সঙ্গীতের তালে তালে চট্টগ্রামের উপজাতি মেয়েদের
পাহাড়ি নৃত্য আমাদেরকে বিমুগ্ধ করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে আসার বহুকাল পর
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের সুরে সুরে সেইরাতে আমার বাউল মনটা চট্টলার সেই কবেকার সোনাঝরা দিনে ফিরে গেল।
পরদিন সকালে আমরা দুই পরিবারের সবাই একটি বড় মাইক্রোবাসে বান্দরবন হয়ে
রাঙ্গামাটি রওয়ানা হলাম। ব্যাংকের একজন ডিজিএম আমাদের সাথি হন। বান্দরবন এসে একটু
হাঁটাহাঁটি এবং নাস্তা করা হল। বান্দরবনে তেমন কিছু ঘুরে দেখা হলনা। নীচ থেকে একটি
পাহাড়ের উপর স্বর্ণবর্ণ চূড়াবিশিষ্ট একটি বৌদ্ধমন্দির দেখলাম। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি
রাস্থায় গাড়ি ছুটে চলেছে। সারিসারি পাহাড়, পাহাড়ের ধাপে ধাপে আঁকাবাঁকা রাস্থা চলে
গেছে। রাস্থার দুই দিকে ঘন বৃক্ষবন। অঞ্চলটা জনবিরল তবে মাঝে মাঝে দেখা যায় দু
একটা পাহাড়ি বাঙালি গ্রাম, ছড়িয়ে ছিটে
থাকা দুই একজন লোক। জেফার সারাটা
রাস্থা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। আমি তাকে দুইদিকের অপরূপ দৃশ্য দেখতে ডাকাডাকি করি,
কিন্তু তার ঘুমের ভাব কাটেনা। সব জায়গায় সেতু নির্মিত হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে এখন
বড়খেয়ায় গাড়ি পারাপার বন্ধ হয়ে আসছে, কিন্তু সামনে এসে পড়ল চট্টগ্রামের অপরূপা
পাহাড়ি আত্মজা কর্নফুলি। এখানে সেতু নেই, অসংখ্য খাড়া পাহাড়, ভাসমান দ্বীপপাহাড়,
এমনই এক জল পাহাড়ের নিসর্গ নদী খেয়াজাহাজে পার হলাম।
কর্নফুলি পার হয়ে উচুপাহাড় বেয়ে বেয়ে আমাদের গাড়ি কাপ্তাই লেকের গা ঘেষে
ঘেষে রাঙ্গামাটি শহরের এসে গেল। এই শহরে ডুকার আগে অপরূপ সুন্দর পাহাড়ি রাস্থা
দেখে মনে মনে গেয়ে উঠলাম রবি ঠাকুরের গান ‘গ্রামছাড়া ওই রাঙ্গামাটির পথ, আমার মন
ভূলায় রে’। আমার কল্পনা হল
হয়ত রবি ঠাকুর এই পথদিয়ে রাঙ্গামাটি শহরে এসে গানটি
লিখেছিলেন। আমাদের গাড়ি থামা মাত্রই রাঙ্গামাটি শাখার ব্যবস্থাপক আমাদেরকে
অভ্যর্থনা জানান। এই শাখায় হাতমুখ ধুয়ে কসরের নামাজ আদায় করি।
আমাদেরকে লেকপারের একটি ভাল খাবার হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল। কাপ্তাই লেক হতে
আমাদের সামনে জীবন্ত রুই এসে গেল। রান্না হচ্ছে, তাই বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষায় রইলাম। আমাদের টেবিলে কয়েক
প্রকার নাস্তা, ফলমূল ও ড্রিঙ্কস এসে হাজির। ইতিমধ্যে রান্নাকরা ফ্রেস খাবার টেবিলে আসা শুরু হল।
খাবার শেষে আমরা বিশ্রাম নিতে সরকারী রঙ্গামাটি পর্যটন হোটেলে চলে যাই।
ঝুলন্ত সেতুর সামনে একটি পাহাড়ি দ্বীপে এই সরকারি পর্যটন মোটেল। আমি অনেকবার রাঙ্গামাটি এসেছি কিন্তু আর কোনবারই
কাপ্তাই লেকে এত সল্পজল দেখি নাই। জলভরা কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য্যই আলাদা, লেকের
অনেক তলায় খানিকজলের লেকটিকে কেমন যেন শ্রীহীন মনে হচ্ছিল। জাহানারা ভাবী বললেন
রাঙ্গামাটির এতনাম শুনলাম কিন্তু দেখেত তেমন একটা কিছু মনে হচ্ছেনা। আমি বললাম এই
শহরের রূপসুধা পান করতে হলে নৌকা ভাড়া করে শুভলঙ যেতে হবে। সারা দুনিয়া ঘুরে দেখা
জাহানারা ভাবী বললেন, না আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি আর ঘুরা যাবেনা। আজ রাতের ঘুমটা
এখানে সমাপ্ত করে কাল সকালেই চট্টগ্রাম ফিরে যাব। বউছেলেকে নিয়ে রাতে রাঙ্গামাটির
অলিগলি ও লেকপারের বেশ হাঁটাহাঁটি করি। মনে একটা দুঃখ কাজ
করল এতদূর এসেও রাঙ্গামাটির মুল আকর্ষণ নৌপথে বউবাচ্চাকে
শুভলং জলপ্রপাত, চাকমা রাজবাড়ী, রাজবিহার বৌদ্ধমন্দির ইত্যাদি দেখান হলনা।
সকালে আমরা
ব্রেকফাস্ট করে চট্টগ্রামে ছুটে গেলাম। আমরা উঠলাম চট্টগ্রাম স্টেশনক্লাবের অভিজাত
রেস্টহাউসে। ব্যাংকের পক্ষ হতে আমাদের এম ডি মহোদয় হেলাল আহমদ চৌধুরীর জন্য একটি
সুসজ্জিত কক্ষ ভাড়া করা ছিল। কিন্তু তিনি জরুরী কাজে বিমানে ঢাকা চলে যাওয়ায় এটি
খালি পড়ে আছে। প্রটোকল অফিসার শাহআলম বললেন, আপনারা ভাগ্যবান, এই বড় রুমটি এমডি
স্যারের জন্য বরাদ্দ আছে, কিন্তু তিনি রাজধানী ফিরে গেছেন। আজ রাতে এটি আপনাদের
জন্য বরাদ্ধ রইল। পরিচালক ফারুক ফাহিম চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টেশন ক্লাবে পুবালী
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, আমন্ত্রিত
মেহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাংলা নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করেন।
বাংলা
নববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম স্টেশন ক্লাবে সেদিন এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি
হয়। একটি খোলা প্রাঙ্গণে গান বাজনা নাচ হৈ হল্লা চলে। নববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম
স্টেশন ক্লাবে রাতে শুরু হল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেঝবান উৎসব। চট্টগ্রামের
এতিহ্যবাহী অসংখ্য ব্যঞ্জনের খাবার দক্ষ রাঁধুনিরা তাদের সব সামর্থ্য ঢেলে দিয়ে রান্নাবান্না করেন। এবার রঙ্গীন শাড়িপরে
এবং পাজামা পাঞ্জাবি গামছা গায়ে অসংখ্য সুসজ্জিত নরনারী, কিশোর কিশোরীরা এসে লাইন
ধরে বুফে খাবার নিয়ে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লনে টেবিলে বসে নববর্ষের
আনন্দাহারে মত্ত হন। দলবেঁধে মানুষের এই নববর্ষের খাবার উৎসব দেখে আমার দারুণ
ভাল লাগে। সেদিন আমি মহান আল্লাহের কাছে প্রার্থনা করলাম, হে
দয়াময় তুমি আমার বাংলাদেশের বারকোটি মানুষকে অন্ততঃ প্রতিটি নববর্ষে এইভাবে একবেলা
সবাই মিলে আনন্দ ভোজনের সুযোগ করে দিন।
এবার
পরিচালক ফারুক ফাহিম চৌধুরীর সৌজন্যে আমাদের নববর্ষের ডিনারের ডাক আসল। দুতলার
একটি বড় টেবিলে আমরা খেতে বসলাম। ব্যাংকের পরিচালকগন আলাদা টেবিলে বসলেন। কমপক্ষে
বত্রিশ ব্যঞ্জনের চাটগাইয়া খাবার সামনে হাজির করা হল। আমি সব
পদের স্বাধ চেখে চেখে দেখলাম, আমার শখের একটু লুইট্যা মাছ নিলাম। জাল
মিষ্টি মসলার বেগুনবাজি পেলাম। সরিষাবাটা
ইলিশ, শক্ত কড়কড়ে রুপচাদা, শুটকি বুনা, দই মসলার সুরমা, পুয়া, কুড়াল, চিংড়ি সাগরের
এই সব মাছরা যেন বলছে আমরা হাজির। একজন মানুষ আর কি খাবে। সবাই যার যার পছন্দ মত
খেয়ে নিচ্ছে। ফারুক ফাহিমকে পরিচয় দিলাম,
আমার বাড়ি সিলেটের দাউদপুর। আমি আপনার দাদির পাশের বাড়ির লোক, আপনার পিতামহি ছিলেন
আমার বাবার চাচাত বোন। আরবিছাঁট দাড়িগালে ভদ্র ও বিনম্র ফাহিম
ফারুক বললেন দাদির বাপের বাড়িতে আমার কোনদিন যাওয়ার সুযোগ হয় নি। সিলেটে গেলে
একবার সেখানে যাবার চেষ্টা করব।
চট্টগ্রাম
স্টেশন ক্লাবের প্রান্তশালায় একদিন একরাতের রাজকীয় অতিথি হিসাবে আনন্দে ২৪টি ঘন্টা
কাটিয়ে পরদিন ২টায় ভাগনা পাবেলের বাসায় গিয়ে নাস্তা করি।
পরিচালক মনির আহমদ সাহেব সপরিবারে চলে যান রাজধানী ঢাকায়। আর আমরা রাতের বাসে
ফিরলাম সিলেট। এমন করেই মনির আহমদ এবং তার বেগম জাহানারা খানমের মহানুভবতা আমার
জীবন কাহিনির একটি স্মরণীয় অংশ হয়ে গেল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন