সিলেট পূর্ব আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকর্মীরাঃ
ইতিমধ্যে এই কার্যালয়ের যাদের
কথা বলা হয়ে গেছে তারা থাক, যাদের কথা বলা হয়নি কেবল তাদের কথাই এবার বলছি। আইন
অফিসার জুমেরা জাহান চৌধুরী সহজসরল মেয়ে একারণেও বলছি সে কাউকেই তেমন পরওয়া করতনা।
বড়স্যারের উল্টাসিদা কাজে কিছু বলতে নেই, তা সে বুঝতনা। কালোচুলের এই মেয়েটি ছিল লম্বা
ফর্সা সুন্দরী। তার মা সিলেট শহরের মহিলা কমিশনার, বাবা আইনজীবী। জেলরোডে তিনতলা
বাড়ি। পুবালী ব্যাংকের একজন অফিসারের সাথে তার বিয়ে হয়। জুমেরা তার মাবাবার
একমাত্র বংশধর। তাই বেশ আদরযত্নে বড় হওয়ায় খানিকটা আত্মঅভিমানী। এই আত্মঅভিমান তার
দাম্পত্য জীবনকে বিষাক্ত করে দেয়। তখনো তার কোন সন্থান হয়নি। সে আত্মীয় সম্পর্কে
আমার নাতিন হবার সুবাধে আমরা বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলাম। আমি চলে আসার পর তার বিবাহ বিচ্ছেদ
ঘটে এবং পরে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করে। সে আমাকে অফিসে ‘স্যার’ ও বাসায় এলে আমার
বেগমকে ‘নানি’ ও আমাকে ‘নানা’ বলে ডাকত।
এবিএম জাহাঙ্গিরের বাড়ি শাহবাগ,
জকিগঞ্জ। আইটি দক্ষ জাহাঙ্গিরের কাছে আমি আইটি শিখি। সে আমার প্রথম ফেসবুক এবং
ইয়াহু ইমেল হিসাব খোলে দেয়। ব্যাংকের কি এক জালিয়াতির ঘটনায় সে তখন সাসপেনসনে ছিল।
জীবন কৃষ্ণ রায় পুবালী ব্যাংকের একজন সাবেক অফিসারের পূত্র, সে একজন মুসলিম মেয়েকে
বিয়ে করে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে। সে সব সময় জামাতে নামাজ পড়ত। ইসলাম ধর্মে তার ভালই
বিশ্বাস তৈরি হয়।
রুমি বেগম ও নাজমা আরেফিন মানব সম্পদ
বিভাগে কাজ করতেন। মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য্য হেসে হেসে কথা বলেন, ফটো তুলেন, তিনি
ছিলেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। এস এম নওশাদ কায়সারও সদাহাস্য যুবক, তাকে কিছুদিন
মানব সম্পদ বিভাগে পাই। আমি কাগজপত্রে ঋণবিভাগ প্রধান হলেও এই বিভাগের অপারেশন পরিচালনা
করতেন দক্ষ কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস। স্থুলদেহ সুবীর বাবুকে আমি সর্বদা ওজন
কমানোর উপদেশ দিতাম। তার সাথে ঋণ বিভাগে যুক্ত ছিলেন ইমরানা আক্তার, তারানা ইসলাম,
বকুল চন্দ্র দাস, আশিস কুমার দাস এবং গৌতম রায়। তারা সবাই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষিত, আইটি দক্ষ ও পরিশ্রমী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন