শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দুই সহস্রাব্দ মধ্যরাত্র ১২টা বেজে “০” সেকেন্ডঃ

 

দুই সহস্রাব্দ মধ্যরাত্র ১২টা বেজে “০” সেকেন্ডঃ

২০০০ সাল আগমনের পুর্বক্ষনে সারা বিশ্বে রটে গেল ৩১শে ডিসেম্বর রাত ১২ঘটিকা শেষ হওয়ামাত্রই “০” (শুন্য) সেকেন্ডে মিলোনিয়াম ভ্রান্তি সংঘটিত হতে পারে। এতে সফটওয়ার বিভ্রাট হয়ে বিশ্বের কম্পিউটার সমুহ বিকল হয়ে যেতে পারে। এই ধারনা বিশ্বের বেশ কিছু নামীদামী আই টি কোম্পানী হতে জারি করা হয় এবং সাবধান থাকতে বলা হয়। আমি এই বিপদ হতে রক্ষাপেতে আমার হিসাবে সামান্য যে টাকা ছিল, এইদিন তুলে নিয়ে তা বাসায় রেখে দিলাম। ১৯৯৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর রাতে আমরা সিলেট শাখায় বার্ষিক সমাপনী কাজে ব্যতিব্যস্ত সময় পার করি। এই রাতে ব্যাংকের এম ডি হতে আরম্ভ করে শাখা ব্যবস্থাপকরা পর্যন্ত সবাই দারুণ উৎকণ্ঠিত ছিলেন না জানি কম্পিঊটারে কি হয়ে যায়। সেই উৎকন্ঠার রাত্রে যখন ১২টা পার হবার পর দেখা গেল ব্যাংকের  কম্পিঊটারে কোন সমস্যাই হয়নি, তখন সবাই হাফ ছেড়ে বাচলেন।

পৃথিবীর সবদেশে শহরে শহরে মধ্যরাতে ১২ ঘটিকার পরক্ষণে মানুষ নুতন সহস্রাব্দ  বরণে আনন্দ উৎসব মেতে উঠেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি চত্বরে সহস্রাব্দ বরন অনুষ্টান পালনে তরুণ তরুণীদের ভীড়ে ডুকে পড়া বখাটেরা বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনার অবতারণা করে        

খৃষ্টানদের বিভিন্ন উপসম্প্রদায়ের লোকজন মনে করত ২০০০ সাল সমাপ্ত হওয়ার সাথে সাথে কিয়ামত শুরু হবে এবং পৃথিবী ধবংস হয়ে যাবে। তাই খৃষ্টান দেশসমূহে সারা ডিসেম্বর মাস জুড়ে শেষবারের আনন্দ ও পানাহার উৎসব চলল। রাত ১২টা পেরিয়ে যাবার পরও তাদের ধর্মীয় ভবিষ্যতবাণীর সেই ভয়ঙ্কর কেয়ামত আদৌ সংঘটিত হলনা, তখন তারাও প্রানে বেঁচে গেলেন।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন